সৌদি-বাহরাইন সেতু | King Fahd Causeway | বাহরাইন ব্রিজ (ভিডিও)
বাহরাইন সাগরে ২৫ কি.মি. বাদশাহ ফাহাদ মৈত্রীসেতু
৭আগস্ট সৌদি-বাহরাইন বাদশাহ ফাহাদ মৈত্রীসেতু দেখতে যাই। দুটি গাড়ীতে করে রাতে আমারা মোট ১০ জন গিয়েছিলাম।
বাহরাইন সাগরের বুকে ২৫ কি.মি. দৈর্ঘ্য সেতু। কী সুন্দর ও নয়নাভিরাম দৃশ্য! নৈসর্গিক শোভা !
সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আযিয ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বাহরাইন ও সৌদি আরবের মধ্যে সড়ক পথে সংযোগ রক্ষার জন্য এ সেতু নির্মাণ করেন। সেতুর উপর দ্বিমুখী সড়ক চার লাইন বিশিষ্ট ও ৭৫ফুট প্রস্থ। দু’সড়কের মাঝখানে শক্ত প্রাচীরের ডিভাইডার। এ সেতু নির্মাণ করতে ৫বছর সময় লাগে এবং নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ৮০০মিলিয়ন ডলার। ১৯৮৬ সালের ২৬নভেম্বর সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ ও বাহরাইনের আমির শায়খ ঈসা বিন সালমান আল খলিফার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেতু উদ্বোধন করা হয়। বাহরাইানের আমিরের প্রস্তাবে এ সেতুর নামকরণ করা হয় বাদশাহ ফাহাদ মৈত্রীসেতু। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম সমুদ্রসেতু। (দুনিয়ার সবচেয়ে প্রলম্বিত সেতু চীনে অবস্থিত। ২০১০ সালে চীনের দানিয়াং থেকে কুনসান পর্যন্ত Yangtze নদীর উপর এ সেতু নির্মিত হয়। দুরত্ব ১৬৪ কিলো মিটার।)
সেতুর উভয় দিক থেকে দৈনিক ২৫হাজার ভারী ও হালকা গাড়ী চলাচল করে। ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরে ১০কোটি ৯০লাখ যাত্রী এ সমুদ্র সেতু ব্যবহার করেন। ইদানিং চলাচলকারী যাত্রীর সংখ্যা দৈনিক ৫২হাজারে দাঁড়িয়েছে। বাহরাইন থেকে ১৪ কি.মি. দূরে মাঝপথে সাগরের বুকে গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম ভূখন্ড যা ‘পাসপোর্ট দ্বীপ’ নামে পরিচিত। এখানে আমরা রাতের খাবার খেয়ে সাগরের কিনারে ঘুরাফেরা করি এবং ফজরের নামাজ পড়ি। চারদিকে সাগরের অথৈ নীল জলরাশি, মৃদু উর্মিমালা, হিমেল হাওয়ার অবগাহনে হৃদয় মন উৎফুল্ল হয়ে উঠে। সাগরে পাড়ে রয়েছে খেজুর গাছ, আমরা সেখান থেকে খেজুরও খেলাম। দ্বীপ থেকে দূরে আবছা আবছা দাম্মাম দেখা যায়। এখানে রয়েছে ইমিগ্রেশন সেন্টার, ২টি মসজিদ, ২টি ওয়াচ টাওয়ার, সরকারী অফিস, রেস্টুরেন্ট ও কিছু দোকান। বাহরাইনের সাইডে আল-জাসরা থেকে ব্রীজ শুরূ অপর দিকে সৌদি সাইডে শুরু আল খূবারের দক্ষিণে আল-আযিযিয়া থেকে। উভয়ের প্রবেশমূখে রয়েছে ওয়াশরুম ও মসজিদ।
এ সেতুর ইকনমিক, সামরিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী। এ সেতু ব্যবহার করে সৌদি আরবের ‘আল-মারাঈ’ কোম্পানীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাহরাইনে তাদের পণ্য বাজারজাত করে থাকে।
25 km in the sea of Bahrain. King Fahad Friendship Bridge
On August 8, King Fahad of Saudi-Bahrain visited the Friendship Bridge. A total of 10 of us went in two cars at night.
25 km in the chest of Bahrain Sea. Length bridge. What a beautiful and eye-catching scene! Natural decoration!
King Fahad bin Abdulaziz of Saudi Arabia built the bridge in 1981 to maintain road links between Bahrain and Saudi Arabia with state funding. The two-way road over the bridge is four-lane and 75 feet wide. Solid wall divider between two roads. The bridge took five years to build and cost নির্মাণ 600 million. The bridge was officially inaugurated on November 26, 1986 in the presence of King Fahad of Saudi Arabia and Emir of Bahrain Sheikh Isa bin Salman Al Khalifa. The bridge was named King Fahad Friendship Bridge at the suggestion of the Emir of Bahrain. It is one of the largest sea bridges in the world. (The world's longest bridge is located in China. It was built in 2010 on the Yangtze River from Danyang to Kunsan in China. The distance is 184 km.)
25,000 heavy and light vehicles ply on both sides of the bridge daily. According to 2010 statistics, 109 million passengers use this sea bridge every year. Nowadays, the number of passengers has stood at 52,000 daily. 14 km from Bahrain. In the middle of the sea, in the middle of the distance, an artificial land has been created which is known as 'Passport Island'. Here we eat dinner, walk around the beach and offer Fajr prayers. The deep blue water of the sea around, the gentle urmimala, the misty air makes the heart and mind happy. There are date palms on the sea shore, we also ate dates from there. Dammam can be seen in the distance from the island. There is an immigration center, 2 mosques, 2 watch towers, government offices, restaurants and some shops. The bridge starts from Al-Jasra on the Bahraini side and on the Saudi side from Al-Azizia south of Al-Khubar. There is a washroom and a mosque at the entrance of both.
The economic, military and political importance of this bridge. Using the bridge, various businesses, including Saudi Arabia's Al-Mara'i Company, market their products in Bahrain.
No comments