চারদিকে রক্তের ছড়াছড়ি, লাশ আর লাশঃ ৫ মে হেফাজতে ইসলামের উপর গণহত্যার নির্মম ইতিহাস
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ শেষে লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষ শাপলা চত্বরে অবস্থান নিলে গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে যৌথ অভিযান চালিয়ে সকালের আলো ফোটার আগেই পুরো এলাকা জনশূন্য করে ফেলে
। সেই অভিযানে অসংখ্য লোক হতাহত হওয়ার দাবি করে হেফাজত
অপারেশন সিকিউর শাপলা[১] বা শাপলা চত্বর অভিযান হল ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ ই মে বাংলাদেশের ঢাকায় সংঘটিত ঘটনাসমূহ, যার মাধ্যমে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন সদ্যপ্রসূত ইসলামী রাজনৈতিক জোট হেফাজতে ইসলামের একটি গনসমাবেশ এবং আন্দোলন এবং তাদেরকে বিতাড়িত করার জন্য সরকার কর্তৃক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বিত বাহিনীর ব্যবহারকে বোঝানো হয়।[২][৩][৪] এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে অপ্রীতিকর মন্তব্যকারী "নাস্তিক ব্লগার"দের ফাসি কার্যকর করার জন্য একটি ব্লাসফেমি আইন প্রনয়ন এবং জনসম্মুখে "নারী পুরুষের মেলামেশা" নিষিদ্ধকরণ।[৫][৬][৭]
৬ই মে'র ভোররাত থেকে, সরকার কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই আন্দোলন কার্যক্রমের অভিমুখী দুটি চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন এবং ইসলামিক টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়, যেগুলো অপারেশানের কার্যকলাপ সরাসরি সম্প্রচার করছিলো।[৮][৯][১০] মতিঝিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন সোমবার সকালে হেফাজতের লোকদের রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ, হাঁটহাজারী এবং বাগেরহাট সহ দেশের বেশ কিছু স্থানে হেফাজত কর্মীদের কথিত হত্যার প্রতিবাদে মিছিল হয়।[১১][১২][১৩] বিভিন্ন সূত্র থেকে অপারেশনে সঙ্ঘটিত হতাহতের সংখ্যা ও পরিস্থিতিকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়। অনেকগুলো সূত্র থকে ৩০ জনেরও অধিক নিহত হওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।[১১][১২][১৩][১৪][১৫]হেফাজত দাবি করে যে তাদের হাজারেরও অধিক কর্মী অভিযানে নিহত হয়েছে যা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকার'র জুন মাসের প্রতিবেদন, এবং সরকারি বিবৃতিসহ কোন মুক্ত গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় নি।[১১][১৬][১৭] সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী বিভাগীয় সংস্থাগুলো বহুসংখ্যক মানবাধিকার সংগঠন কর্তৃক উক্ত অভিযানে তাদের ভূমিকার জন্য কড়াভাবে সমালোচিত হয়।
শুধু ওপর থেকে নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিল পুলিশ-র্যাব-বিজিবি। একটা ‘ইয়েস কল’ আসার অপেক্ষা মাত্র। কলটি আসা মাত্রই ওরা নড়ছে না। তারপর ওপাশ থেকে যেই বলা হল- ‘আক্রমণে যাও’। এরপরে শুরু হলো সর্বাত্মক আক্রমন!! হাজার হাজার রাউন্ড গুলি টিয়ার গ্যাস ও গ্রেনেড ছুড়ে আগাতে থাকে যৌথবাহিনী।
গোলাবারুদের হিসাব:
৫ মের ওই অপারেশনে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ খরচ হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হিসাবে ৮০ হাজার টিয়ার শেল, ৬০ হাজার রাবার বুলেট, ১৫ হাজার শটগানের গুলি এবং ১২ হাজার সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। এর বাইরে পিস্তল এবং রিভলবার জাতীয় ক্ষুদ্র অস্ত্রের গুলি খরচ হয়েছে মাত্র সাড়ে ৩০০ রাউন্ড। সরকারের ৫ মের অপারেশনে র্যাবের ১ হাজার ৩০০ সদস্য, পুলিশের ৫ হাজার ৭১২ এবং বিজিবির ৫৭৬ জন সদস্য সরাসরি অংশ নেয়। এর বাইরে বিজিবির ১০ প্লাটুন ছাড়াও র্যাব এবং পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য ‘স্টাইকিং ফোর্স’ হিসেবে তৈরি ছিল। রাত ২টা ৩১ মিনিটে মূল অপারেশন শুরু হলেও রাত ১২টার পর থেকেই মূলত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তিন দিক থেকে ধীরে-ধীরে শাপলা চত্বরের দিকে এগুতে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিকিউরড শাপলা’। র্যাবের সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন ফ্লাশ আউট’।
আক্রমন পরিচালনা :
ঘটনার রাত ১০টার দিকে তার নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল বেইলী রোড দিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে এগুতে থাকে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন মোড়ে গিয়ে তারা প্রথম ‘ফায়ার ওপেন’ করেন। এ সময় তারা সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে জমায়েতে থাকা লোকজনের মধ্যে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এ সময় হেভি ভেহিকেল মুভমেন্ট করে তাদের মনোবল ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। তিনি জানান, ধীরে-ধীরে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পর তারা প্রথম বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় এপিসি থেকে একের পর এক গ্যাস চার্জ করা হয়। কিন্তু বাধ সাধে উল্টো বাতাস। বাতাসের কারণে গ্যাস চার্জের পর তারা সামনের দিকে এগুতে পারছিলেন না। এভাবে তারা নটরডেম কলেজ পর্যন্ত যান।
রাত ১টার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছিলেন। সমঝোতা ব্যর্থ হওয়ার পর রাত দেড়টার দিকে অপারেশনের পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরেই তারা টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে অপারেশনের কৌশল ও প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ এবং বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। রাত আড়াইটার দিকে শুরু হয় মূল অপারেশন।
অপারেশন শাপলার অজানা কথা :
৫ মে রাত ১০টা। পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা পর্যন্ত থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংর্ষষ চলছিল। একপর্যায়ে পুরো এলাকা দখলে নিয়ে নেয় পুলিশ। তখন র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেননি। এলাকা দখলে নেয়ার পর পুলিশ চলে যায় মতিঝিল থানার সামনে। এই সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা অবস্থান করে থানা থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে। নেতাকর্মীরা মাইকে স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে রাখে। পানির জার ও থালা-বাসন দিয়ে পিটিয়ে কর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা। বারবার মাইকে ঘোষণা দিতে থাকেন-পুলিশ বা র্যাব আসলে তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে। তাদের কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না। এসব ঘোষণা আসার পর কর্মীরা নানা রকমের স্লোগান দিয়ে পুলিশের দিকে আসার চেষ্টা চালায়। এদিকে অপারেশন শাপলা কিভাবে করা হবে তা নিয়ে পুলিশ-র্যাব ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করেন।
এরপরে সরকারের হাইকমান্ড নির্দেশ আসে, যতই প্রাণহানি হোক না কেনো হলেও অভিযান চালাতে হবে। রাত সাড়ে ১২টায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়- অভিযান চালানো হবে। র্যাব-পুলিশ জানায়, তিনভাগে ভাগ হয়ে অপারেশন চালানো হয়। একটি অংশ নয়াপল্টন থেকে দৈনিক বাংলা হয়ে শাপলা চত্বরের দিকে, ২য় অংশটি নটরডেম কলেজের সামনের দিক থেকে শাপলা চত্বরের দিকে। আর ৩য় অংশটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর থেকে বের হয়ে মূল মঞ্চের দিকে চলে যাবে। আর টিকাটুলি দিকে যাওয়ার রাস্তাটি শুধু খোলা রাখা হয়। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর রাত ২টা ২০ মিনিটে র্যাব সদস্যরা এসে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। আর বিজিবিকে রাখা হয় মতিঝিল জনতা ব্যাংক ভবনের সামনে।
অভিযান চলে যাদের নেতৃত্বে :
অভিযানে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান, র্যাব-১০-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান ও র্যাব-৩-এর অধিনায়ক মেজর সাব্বির, র্যাব-১-এর পরিচালক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত র্যাব- ৪ এর পরিচালক কামরুল আহসান। বিজিবিকে নেতৃত্ব দেন কর্নেল এহিয়া আজম খানসহ ৫ কমান্ডো অফিসার। আর পুলিশের পক্ষে ছিলেন- যুগ্ম কমিশনার শেখ মারুফ হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার) আনোয়ার হোসেন। তারা মাঠপর্যায়ে সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। সবার হাতে থাকে এসএমজি, একে ৪৭ রাইফেলসহ অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।
আইন প্রয়োগকারী সদস্য সংখ্যা :
ওই অভিযানে র্যাবের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ১ হাজার ৩০০। পুলিশের ছিল পাঁচ হাজার ৭১২ জন। আর বিজিবির ছিল ১৮ প্লাটুন। তাছাড়া যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পিলখানায় প্রস্তুত রাখা হয় বিজিবির আরও ১০ প্লাটুন সদস্য। হামলা রোধ করতে সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে বিজিবি ও র্যাব।
অভিযানের সঠিক সময় :
সিন্ধান্ত অনুযায়ী রাত ২টা ৩১ মিনিটে অভিযান শুরু হয়। প্রথমে পুলিশের ২টি এপিসিকে সামনে রাখা হয়। তারপর র্যাব ও পুলিশ ফায়ার করতে করতে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মুহুর্মুহু টিয়ার শেল আর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু। এ সময় হেফাজতের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়, কোন কর্মী শাপলা চত্বর ছাড়বে না। তারপরও চলে তাদের বিদায়ী ভাষণ। অল্প সময়ের মধ্যে মঞ্চ লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। একই সঙ্গে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলির প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে মতিঝিলসহ আশপাশ এলাকা। গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোপের মুখে মঞ্চ ছাড়তে শুরু করে হেফাজতের সদস্যরা। কেউ কেউ চলে যায় টিকাটুলির দিকে। আবার কেউ চলে যায় সোনালী ব্যাংকের ভেতরে, কেউ পাশের ভবনে, কেউ বা অলিগলিতে। হেফাজতের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে র্যাব-পুলিশের পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। অভিযানের সময় প্রস্তুত ছিল ফায়ার সার্ভিসের একাধিক গাড়ি ও কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। ৪০ মিনিটের মধ্যেই পুরো শাপলা চত্বর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। কিন্ত পুলিশ-র্যাব ও বিজিবির অভিযান শেষ হয় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে। অভিযান শুরুর পর থেকেই কন্ট্রোল রুমে থেকে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ। বিজিবি ও র্যাব মহাপরিচালকও তার বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে-ওয়্যারলেসে দফায় দফায় কথা বলেন। ওই দিন অঘোষিতভাবে সব র্যাব সদস্যের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে ডেকে আনা হয়।
যখন অপারেশন শুরু হয় টেলিভিশন চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ার রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যানরা ছিলেন অনেকটা আতংকে। তাদেরকে একমন স্থল থেকে আধা কিমি দূরে নিয়ে রাখা হয়। তাছাড়া অভিযান শুরু হওয়ার পর হামলার ভয়ে অনেকেই সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা চিন্তাও করেনি। তাছাড়া ওইদিন দিনের বেলায় হেফাজত কর্মীদের হামলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হওয়ার পর অন্য সাংবাদিকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছিল।
রক্তক্ষয়ী সাড়াশি আক্রমনের পরে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা হেফাজত কর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে গুলি করে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। হাজার হাজার হতাহতের মধ্যে নিহতদের লাশ আইনশৃঙ্খলার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ট্রাকে করে সরিয়ে ফেলা হয়। সিটি কার্পোরেশনের সুইপার ও ফায়ার ব্রিগেডের হোসপাইপ দিয়ে রাস্তায় জমে থাকা রক্ত পরিস্কার করে সব সাফ করা হয়।
একুশে টিভির ক্যামরোম্যান জানিয়েছেন, লাশের সংখ্যা হবে প্রায় ২৫০০, এমনকি ৫ ট্রাক লাশ যেতে তিনি নিজের চোখে দেখেছেন। এসময় ভিডিও করার কারনে তাকে ও তার সহকর্মীকে মারধর করে একুশে টেলিভিমনের ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে র্যাব। সময় টিভির কাছে লাশবোঝাই ট্রাকগুলোর ছবি আছে। বেসরকারী হিসাব মতে ২৫ ট্রাক লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মাতুয়াইলের দিকে, ১৬ ট্রাক লাশ যায় পিলখানায়।
এই বর্বরোচিত গণহত্যার দায়িত্ব স্বীকার করেনি সরকার। বরং প্রেস নোট দিয়ে অবৈধ সমাবেশের জন্য হেফাজতকে দায়ী করেছে। বলা হয়, ঘটনার সময় কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি এমনকি কোনো কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। অপরদিকে, দু’দিন আগে হাটহাজারিতে গণমোনাজাতে আল্লামা শফি শাপলা চত্তরের গণহত্যার জন্য সরকারকে দায়ী করে জালিম সরকারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আল্লাহর গায়েবী মদদ কামনা করেছেন।
৫ মে হেফাজতে ইসলামের উপর গণহত্যার ছবিতে ছবিতে নির্মম ইতিহাসঃ
৫ মে কি হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল আমরা কম বেশি সবাই জানি।তাই কোন ভুমিকা দিতে চাচ্ছি না।এই নোটে আমি সেদিনের কিছু চিত্র তুলে ধরব যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উম্মাহর এই সিংহ বীর শহীদদের স্মরণ রাখে।আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে যারা জীবন দিল তাদের কেউ যেন ভুলে না যাই।ঠিক কত যন মানুষ সেদিন শহীদ হয়েছিল এই হিসাব কারো কাছে নেই।দেশের বিভিন্য প্রান্ত থেকে সেদিন ঈমানের দাবিতে মানুষ ছুটে এসেছিল ঢাকার মতিঝিলে।কে কোথায় থাকে কার বাড়ী কোথায় কেউ জানত না।তাই সেদিন যারা গণহত্যার শিকার হয় হেফাজতে ইসলাম প্রত্যেকের পরিচয় জানত না।লাশের হিসাব করাও তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।সেদিনের গণহত্যার চিত্রগুলি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে আমরা অনুমান করতে পারি ঠিক কত মানুষ সেদিন শহীদ হয়।হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ৫ মে ২০১৩- এ তাদের পূর্বে ঘোষনাকৃত ১৩ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ঢাকা অবরোধের ডাক দেয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা ঢাকার প্রতিটি প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।
এ সময় তারা ১৩ দফা দাবি ও নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকে।
দুপুরের মধ্যে মানুষের ভীরে পুরো মতিঝিল এলাকায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।একারনে অনেককে মতিঝিলের বাইরে অবস্থান নিতে হয়। পল্টন সহ ঢাকার আশে পাশে যারা অবস্থান নিয়েছিল তাদের অনেকটা একলা পেয়ে যায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের পেটুয়া বাহিনি।পল্টোনে অবস্থান রতদের উপর দুপুর থেকেই গোলাগুলি করতে থাকে পুলিশ
পুলিশের সাথে হামলায় যোগ যোগ দেয় আওয়ামিলীগের বিভিন্য পেটুয়া বাহিনী
শহীদদের লাশ নিয়ে আসা হয় শাপলা চত্তরে
পুলিশের প্রতি হেফাজত কর্মীরা প্রথম থেকেই ছিল সহনশীল ও ভাত্রিত্তপূর্ণ সহাবস্থানে
বিকাল থেকে শাপলা চত্তরে হেফাজত ইসলামের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বক্তৃতা চলতে থাকে শাপলা চত্তরে।এদিকে ঢাকার বিভিন্য স্থানে একের পর এক হেফাজত কর্মীদের শহীদ হওয়ার খবর আসতে থাকে।সন্ধা থেকে একের পর এক লাশা আসতে থাকে শাপলা চত্তরে।শহীদ লাশ নিয়ে কয়েক দফা মুনাজাত হয় আল্লাহর দরবারে।এ সব কিছুই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করছিল দিগন্ত টিভি ও ইসলামি টিভি।
আল্লামা সফিকে শেষ পর্যন্ত সমাবেশে আসতে দেয় নি সরকার,তিনি লোক মারফত জানিইয়ে দেন ১৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাবার ঘোষয়ান দেন,তিনি ধৃর কন্ঠে জানিয়ে দেন ১৩ দফা না মানলে একজন হেফাজত কর্মীও বাড়ী ফিড়বে না
এভাবে একের পর এক হেফাজত নেতার বক্তব্য দিয়ে রাত পার হতে থাকে।অনেক হেফাজত কর্মী তখন ঘুমিয়ে পড়েন
রাত দুইটার পর ইন্ডিয়ান ভাড়াটিয়া বাহিনী ও এদশেয়ী তাগুতি আর্মস ঘুমন্ত হেফাজত কর্মীদের উপর গনহত্যার প্রস্তুতি নিতে থাকে।
এর আগে সমস্ত মিডিয়া কর্মীদের শাপলা চত্তর থেকে শরীয়ে নেয়া হয় ও বিদ্যুৎ সংযোগ বনহ করে দেয়া হয়।
বিজিবি র্যাব ছাড়া বিপুলসংখ্যক বিদেশি সশস্ত্র লোক দিয়ে আচমকা সমাবেশস্থলে ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই ব্যাপক হত্যাযজ্ঞে কমপক্ষে দুই হাজার নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করে।আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি।
অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনের গাড়িতে করে বিপুলসংখ্যক লাশ সরিয়ে ফেলা হয়।
৫ মে মধ্যরাতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি বাহিনী যা ঘটিয়েছিল তার ভিডিওঃ www.youtube.com/watch?v=4utxGxmVIdY
নিচের ভয়াবহ এই ভিডিওটা না দেখলে আপনার সবকিছুই অজানা রয়ে যাবে !কতটা নির্মম ভাবে মারা হল এই ভিডিওটা তার জলন্ত প্রমান । ভিডিওটা অবশ্যই অবশ্যই দেখবেন http://www.youtube.com/watch?v=0wfFspET-Q4
নিচের ছোট্ট ভিডিওটাও দেখেন ... জাতীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইলো যে " অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে থাকা একজন হুজুরকে এইভাবে মারার অর্থ কি ?
ডাউনলোড লিংকঃ http://www.2shared.com/video/btF0YI2R/hefajot3.html
৬ মে ভোর ৫ টার দিকে যা ঘটে ছিল তার ভিডিও :ডাউনলোড লিংকঃ http://www.2shared.com/video/4Yf-A84f/hefajot5.html
রাতের বেলায় হেফতের এক কর্মীর উপর হায়েনা পুলিশের তান্ডবঃ
পুরো ঘটনার একটি ডকুমেন্টারিঃ http://www.youtube.com/watch?v=cfN6KlqoMOM
লাশ গুম করার অনন্য একটি ভিডিয় http://www.youtube.com/watch?v=qJQb8utuPv8
রাস্তায় রক্তের বন্যাঃ http://www.youtube.com/watch?v=AvNhU5adzFE
দিনের বেলায় যেভাবে আলীগ ও পুলিশ হেফাজতের উপর আক্রমণ করেঃ http://www.youtube.com/watch?v=QVWGHBD7P_0
হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের দাবি যে ৫ মে গাড়ীতে আগুন দেওয়া, কোরআন পুরানোর নামে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ষড়যন্ত্র । নিচের ভিডিওটি নিঃসন্দেহে প্রমান করে যে গাড়ীতে আসলে আগুন দেওয়া হয়েছিল আওয়ামীলীগের কর্মীদের দ্বারা । হাউজ বিল্ডিং অফিসে কারা জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর করেছে তার প্রমাণ পাবেন। মাথায় হেলমেট পরে কারা ৫ ই মে সেদিন পল্টনে ছিলো সেটা সবাই দেখেছেন টিভিতে/ সরাসরি । আপনি অবাক হবেন এটা দেখে যে - এই হেলমেট পরা লিডারদের সাথে মাথায় টুপি পড়া কয়জনও গাড়ি ভাংছে। আসলে তারা টুপি পড়ে যে হেফাজতের বেশ ধারন করেছিল তা নিশ্চয়ই টের পাবেন ভিডিওটি দেখে ! হেফাজতের লোকদের ভেতরে যে ভাংচুর-জালাও-পোড়াও করার জন্য হেফাজত সেজে ইনফিল্ট্রেটর ঢুকেছিল আশা করি সন্দেহ কাটবে। অথচ এই হুজুরগুলোর গায়ে সব মিথ্যা অপরাধের কলংক চাপানো হয়েছে। প্রথম আলোর ৭ ই মে ১৩ নাম্বার পাতায় হাউজবিল্ডিং এ গাড়ির ধবংসস্তুপের ছবি ছাপিয়ে হেফাতরের হুজুরদেরকে দায়ি করা হয়েছে।http://eprothomalo.com/displaypage.php?id=2013_05_07_13_0_b
আগুন লাগানোর ভিডিয় লিংকঃ http://www.2shared.com/video/iVXwhlpX/hefajot6.html
বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে নিচের ছবিটা দেখে (from Video)
শেষ করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি বাণী দিয়েঃ
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। (২:154)
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ শেষে লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষ শাপলা চত্বরে অবস্থান নিলে গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে যৌথ অভিযান চালিয়ে সকালের আলো ফোটার আগেই পুরো এলাকা জনশূন্য করে ফেলে
। সেই অভিযানে অসংখ্য লোক হতাহত হওয়ার দাবি করে হেফাজত
অপারেশন সিকিউর শাপলা[১] বা শাপলা চত্বর অভিযান হল ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ ই মে বাংলাদেশের ঢাকায় সংঘটিত ঘটনাসমূহ, যার মাধ্যমে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন সদ্যপ্রসূত ইসলামী রাজনৈতিক জোট হেফাজতে ইসলামের একটি গনসমাবেশ এবং আন্দোলন এবং তাদেরকে বিতাড়িত করার জন্য সরকার কর্তৃক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বিত বাহিনীর ব্যবহারকে বোঝানো হয়।[২][৩][৪] এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে অপ্রীতিকর মন্তব্যকারী "নাস্তিক ব্লগার"দের ফাসি কার্যকর করার জন্য একটি ব্লাসফেমি আইন প্রনয়ন এবং জনসম্মুখে "নারী পুরুষের মেলামেশা" নিষিদ্ধকরণ।[৫][৬][৭]
৬ই মে'র ভোররাত থেকে, সরকার কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই আন্দোলন কার্যক্রমের অভিমুখী দুটি চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন এবং ইসলামিক টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়, যেগুলো অপারেশানের কার্যকলাপ সরাসরি সম্প্রচার করছিলো।[৮][৯][১০] মতিঝিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন সোমবার সকালে হেফাজতের লোকদের রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ, হাঁটহাজারী এবং বাগেরহাট সহ দেশের বেশ কিছু স্থানে হেফাজত কর্মীদের কথিত হত্যার প্রতিবাদে মিছিল হয়।[১১][১২][১৩] বিভিন্ন সূত্র থেকে অপারেশনে সঙ্ঘটিত হতাহতের সংখ্যা ও পরিস্থিতিকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়। অনেকগুলো সূত্র থকে ৩০ জনেরও অধিক নিহত হওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।[১১][১২][১৩][১৪][১৫]হেফাজত দাবি করে যে তাদের হাজারেরও অধিক কর্মী অভিযানে নিহত হয়েছে যা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকার'র জুন মাসের প্রতিবেদন, এবং সরকারি বিবৃতিসহ কোন মুক্ত গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় নি।[১১][১৬][১৭] সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী বিভাগীয় সংস্থাগুলো বহুসংখ্যক মানবাধিকার সংগঠন কর্তৃক উক্ত অভিযানে তাদের ভূমিকার জন্য কড়াভাবে সমালোচিত হয়।
শুধু ওপর থেকে নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিল পুলিশ-র্যাব-বিজিবি। একটা ‘ইয়েস কল’ আসার অপেক্ষা মাত্র। কলটি আসা মাত্রই ওরা নড়ছে না। তারপর ওপাশ থেকে যেই বলা হল- ‘আক্রমণে যাও’। এরপরে শুরু হলো সর্বাত্মক আক্রমন!! হাজার হাজার রাউন্ড গুলি টিয়ার গ্যাস ও গ্রেনেড ছুড়ে আগাতে থাকে যৌথবাহিনী।
গোলাবারুদের হিসাব:
৫ মের ওই অপারেশনে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ খরচ হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হিসাবে ৮০ হাজার টিয়ার শেল, ৬০ হাজার রাবার বুলেট, ১৫ হাজার শটগানের গুলি এবং ১২ হাজার সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। এর বাইরে পিস্তল এবং রিভলবার জাতীয় ক্ষুদ্র অস্ত্রের গুলি খরচ হয়েছে মাত্র সাড়ে ৩০০ রাউন্ড। সরকারের ৫ মের অপারেশনে র্যাবের ১ হাজার ৩০০ সদস্য, পুলিশের ৫ হাজার ৭১২ এবং বিজিবির ৫৭৬ জন সদস্য সরাসরি অংশ নেয়। এর বাইরে বিজিবির ১০ প্লাটুন ছাড়াও র্যাব এবং পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য ‘স্টাইকিং ফোর্স’ হিসেবে তৈরি ছিল। রাত ২টা ৩১ মিনিটে মূল অপারেশন শুরু হলেও রাত ১২টার পর থেকেই মূলত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তিন দিক থেকে ধীরে-ধীরে শাপলা চত্বরের দিকে এগুতে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিকিউরড শাপলা’। র্যাবের সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন ফ্লাশ আউট’।
আক্রমন পরিচালনা :
ঘটনার রাত ১০টার দিকে তার নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল বেইলী রোড দিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে এগুতে থাকে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন মোড়ে গিয়ে তারা প্রথম ‘ফায়ার ওপেন’ করেন। এ সময় তারা সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে জমায়েতে থাকা লোকজনের মধ্যে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এ সময় হেভি ভেহিকেল মুভমেন্ট করে তাদের মনোবল ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। তিনি জানান, ধীরে-ধীরে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পর তারা প্রথম বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় এপিসি থেকে একের পর এক গ্যাস চার্জ করা হয়। কিন্তু বাধ সাধে উল্টো বাতাস। বাতাসের কারণে গ্যাস চার্জের পর তারা সামনের দিকে এগুতে পারছিলেন না। এভাবে তারা নটরডেম কলেজ পর্যন্ত যান।
রাত ১টার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছিলেন। সমঝোতা ব্যর্থ হওয়ার পর রাত দেড়টার দিকে অপারেশনের পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরেই তারা টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে অপারেশনের কৌশল ও প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ এবং বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। রাত আড়াইটার দিকে শুরু হয় মূল অপারেশন।
অপারেশন শাপলার অজানা কথা :
৫ মে রাত ১০টা। পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা পর্যন্ত থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংর্ষষ চলছিল। একপর্যায়ে পুরো এলাকা দখলে নিয়ে নেয় পুলিশ। তখন র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেননি। এলাকা দখলে নেয়ার পর পুলিশ চলে যায় মতিঝিল থানার সামনে। এই সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা অবস্থান করে থানা থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে। নেতাকর্মীরা মাইকে স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে রাখে। পানির জার ও থালা-বাসন দিয়ে পিটিয়ে কর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা। বারবার মাইকে ঘোষণা দিতে থাকেন-পুলিশ বা র্যাব আসলে তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে। তাদের কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না। এসব ঘোষণা আসার পর কর্মীরা নানা রকমের স্লোগান দিয়ে পুলিশের দিকে আসার চেষ্টা চালায়। এদিকে অপারেশন শাপলা কিভাবে করা হবে তা নিয়ে পুলিশ-র্যাব ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করেন।
এরপরে সরকারের হাইকমান্ড নির্দেশ আসে, যতই প্রাণহানি হোক না কেনো হলেও অভিযান চালাতে হবে। রাত সাড়ে ১২টায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়- অভিযান চালানো হবে। র্যাব-পুলিশ জানায়, তিনভাগে ভাগ হয়ে অপারেশন চালানো হয়। একটি অংশ নয়াপল্টন থেকে দৈনিক বাংলা হয়ে শাপলা চত্বরের দিকে, ২য় অংশটি নটরডেম কলেজের সামনের দিক থেকে শাপলা চত্বরের দিকে। আর ৩য় অংশটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর থেকে বের হয়ে মূল মঞ্চের দিকে চলে যাবে। আর টিকাটুলি দিকে যাওয়ার রাস্তাটি শুধু খোলা রাখা হয়। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর রাত ২টা ২০ মিনিটে র্যাব সদস্যরা এসে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। আর বিজিবিকে রাখা হয় মতিঝিল জনতা ব্যাংক ভবনের সামনে।
অভিযান চলে যাদের নেতৃত্বে :
অভিযানে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান, র্যাব-১০-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান ও র্যাব-৩-এর অধিনায়ক মেজর সাব্বির, র্যাব-১-এর পরিচালক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত র্যাব- ৪ এর পরিচালক কামরুল আহসান। বিজিবিকে নেতৃত্ব দেন কর্নেল এহিয়া আজম খানসহ ৫ কমান্ডো অফিসার। আর পুলিশের পক্ষে ছিলেন- যুগ্ম কমিশনার শেখ মারুফ হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার) আনোয়ার হোসেন। তারা মাঠপর্যায়ে সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। সবার হাতে থাকে এসএমজি, একে ৪৭ রাইফেলসহ অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।
আইন প্রয়োগকারী সদস্য সংখ্যা :
ওই অভিযানে র্যাবের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ১ হাজার ৩০০। পুলিশের ছিল পাঁচ হাজার ৭১২ জন। আর বিজিবির ছিল ১৮ প্লাটুন। তাছাড়া যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পিলখানায় প্রস্তুত রাখা হয় বিজিবির আরও ১০ প্লাটুন সদস্য। হামলা রোধ করতে সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে বিজিবি ও র্যাব।
অভিযানের সঠিক সময় :
সিন্ধান্ত অনুযায়ী রাত ২টা ৩১ মিনিটে অভিযান শুরু হয়। প্রথমে পুলিশের ২টি এপিসিকে সামনে রাখা হয়। তারপর র্যাব ও পুলিশ ফায়ার করতে করতে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মুহুর্মুহু টিয়ার শেল আর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু। এ সময় হেফাজতের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়, কোন কর্মী শাপলা চত্বর ছাড়বে না। তারপরও চলে তাদের বিদায়ী ভাষণ। অল্প সময়ের মধ্যে মঞ্চ লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। একই সঙ্গে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলির প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে মতিঝিলসহ আশপাশ এলাকা। গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোপের মুখে মঞ্চ ছাড়তে শুরু করে হেফাজতের সদস্যরা। কেউ কেউ চলে যায় টিকাটুলির দিকে। আবার কেউ চলে যায় সোনালী ব্যাংকের ভেতরে, কেউ পাশের ভবনে, কেউ বা অলিগলিতে। হেফাজতের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে র্যাব-পুলিশের পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। অভিযানের সময় প্রস্তুত ছিল ফায়ার সার্ভিসের একাধিক গাড়ি ও কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। ৪০ মিনিটের মধ্যেই পুরো শাপলা চত্বর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। কিন্ত পুলিশ-র্যাব ও বিজিবির অভিযান শেষ হয় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে। অভিযান শুরুর পর থেকেই কন্ট্রোল রুমে থেকে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ। বিজিবি ও র্যাব মহাপরিচালকও তার বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে-ওয়্যারলেসে দফায় দফায় কথা বলেন। ওই দিন অঘোষিতভাবে সব র্যাব সদস্যের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে ডেকে আনা হয়।
যখন অপারেশন শুরু হয় টেলিভিশন চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ার রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যানরা ছিলেন অনেকটা আতংকে। তাদেরকে একমন স্থল থেকে আধা কিমি দূরে নিয়ে রাখা হয়। তাছাড়া অভিযান শুরু হওয়ার পর হামলার ভয়ে অনেকেই সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা চিন্তাও করেনি। তাছাড়া ওইদিন দিনের বেলায় হেফাজত কর্মীদের হামলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হওয়ার পর অন্য সাংবাদিকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছিল।
রক্তক্ষয়ী সাড়াশি আক্রমনের পরে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা হেফাজত কর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে গুলি করে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। হাজার হাজার হতাহতের মধ্যে নিহতদের লাশ আইনশৃঙ্খলার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ট্রাকে করে সরিয়ে ফেলা হয়। সিটি কার্পোরেশনের সুইপার ও ফায়ার ব্রিগেডের হোসপাইপ দিয়ে রাস্তায় জমে থাকা রক্ত পরিস্কার করে সব সাফ করা হয়।
একুশে টিভির ক্যামরোম্যান জানিয়েছেন, লাশের সংখ্যা হবে প্রায় ২৫০০, এমনকি ৫ ট্রাক লাশ যেতে তিনি নিজের চোখে দেখেছেন। এসময় ভিডিও করার কারনে তাকে ও তার সহকর্মীকে মারধর করে একুশে টেলিভিমনের ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে র্যাব। সময় টিভির কাছে লাশবোঝাই ট্রাকগুলোর ছবি আছে। বেসরকারী হিসাব মতে ২৫ ট্রাক লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মাতুয়াইলের দিকে, ১৬ ট্রাক লাশ যায় পিলখানায়।
এই বর্বরোচিত গণহত্যার দায়িত্ব স্বীকার করেনি সরকার। বরং প্রেস নোট দিয়ে অবৈধ সমাবেশের জন্য হেফাজতকে দায়ী করেছে। বলা হয়, ঘটনার সময় কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি এমনকি কোনো কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। অপরদিকে, দু’দিন আগে হাটহাজারিতে গণমোনাজাতে আল্লামা শফি শাপলা চত্তরের গণহত্যার জন্য সরকারকে দায়ী করে জালিম সরকারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আল্লাহর গায়েবী মদদ কামনা করেছেন।
৫ মে হেফাজতে ইসলামের উপর গণহত্যার ছবিতে ছবিতে নির্মম ইতিহাসঃ
৫ মে কি হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল আমরা কম বেশি সবাই জানি।তাই কোন ভুমিকা দিতে চাচ্ছি না।এই নোটে আমি সেদিনের কিছু চিত্র তুলে ধরব যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উম্মাহর এই সিংহ বীর শহীদদের স্মরণ রাখে।আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে যারা জীবন দিল তাদের কেউ যেন ভুলে না যাই।ঠিক কত যন মানুষ সেদিন শহীদ হয়েছিল এই হিসাব কারো কাছে নেই।দেশের বিভিন্য প্রান্ত থেকে সেদিন ঈমানের দাবিতে মানুষ ছুটে এসেছিল ঢাকার মতিঝিলে।কে কোথায় থাকে কার বাড়ী কোথায় কেউ জানত না।তাই সেদিন যারা গণহত্যার শিকার হয় হেফাজতে ইসলাম প্রত্যেকের পরিচয় জানত না।লাশের হিসাব করাও তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।সেদিনের গণহত্যার চিত্রগুলি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে আমরা অনুমান করতে পারি ঠিক কত মানুষ সেদিন শহীদ হয়।হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ৫ মে ২০১৩- এ তাদের পূর্বে ঘোষনাকৃত ১৩ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ঢাকা অবরোধের ডাক দেয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা ঢাকার প্রতিটি প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।
এ সময় তারা ১৩ দফা দাবি ও নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকে।
দুপুরের মধ্যে মানুষের ভীরে পুরো মতিঝিল এলাকায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।একারনে অনেককে মতিঝিলের বাইরে অবস্থান নিতে হয়। পল্টন সহ ঢাকার আশে পাশে যারা অবস্থান নিয়েছিল তাদের অনেকটা একলা পেয়ে যায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের পেটুয়া বাহিনি।পল্টোনে অবস্থান রতদের উপর দুপুর থেকেই গোলাগুলি করতে থাকে পুলিশ
পুলিশের সাথে হামলায় যোগ যোগ দেয় আওয়ামিলীগের বিভিন্য পেটুয়া বাহিনী
শহীদদের লাশ নিয়ে আসা হয় শাপলা চত্তরে
পুলিশের প্রতি হেফাজত কর্মীরা প্রথম থেকেই ছিল সহনশীল ও ভাত্রিত্তপূর্ণ সহাবস্থানে
বিকাল থেকে শাপলা চত্তরে হেফাজত ইসলামের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বক্তৃতা চলতে থাকে শাপলা চত্তরে।এদিকে ঢাকার বিভিন্য স্থানে একের পর এক হেফাজত কর্মীদের শহীদ হওয়ার খবর আসতে থাকে।সন্ধা থেকে একের পর এক লাশা আসতে থাকে শাপলা চত্তরে।শহীদ লাশ নিয়ে কয়েক দফা মুনাজাত হয় আল্লাহর দরবারে।এ সব কিছুই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করছিল দিগন্ত টিভি ও ইসলামি টিভি।
আল্লামা সফিকে শেষ পর্যন্ত সমাবেশে আসতে দেয় নি সরকার,তিনি লোক মারফত জানিইয়ে দেন ১৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাবার ঘোষয়ান দেন,তিনি ধৃর কন্ঠে জানিয়ে দেন ১৩ দফা না মানলে একজন হেফাজত কর্মীও বাড়ী ফিড়বে না
এভাবে একের পর এক হেফাজত নেতার বক্তব্য দিয়ে রাত পার হতে থাকে।অনেক হেফাজত কর্মী তখন ঘুমিয়ে পড়েন
রাত দুইটার পর ইন্ডিয়ান ভাড়াটিয়া বাহিনী ও এদশেয়ী তাগুতি আর্মস ঘুমন্ত হেফাজত কর্মীদের উপর গনহত্যার প্রস্তুতি নিতে থাকে।
এর আগে সমস্ত মিডিয়া কর্মীদের শাপলা চত্তর থেকে শরীয়ে নেয়া হয় ও বিদ্যুৎ সংযোগ বনহ করে দেয়া হয়।
বিজিবি র্যাব ছাড়া বিপুলসংখ্যক বিদেশি সশস্ত্র লোক দিয়ে আচমকা সমাবেশস্থলে ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই ব্যাপক হত্যাযজ্ঞে কমপক্ষে দুই হাজার নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করে।আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি।
অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনের গাড়িতে করে বিপুলসংখ্যক লাশ সরিয়ে ফেলা হয়।
৫ মে মধ্যরাতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি বাহিনী যা ঘটিয়েছিল তার ভিডিওঃ www.youtube.com/watch?v=4utxGxmVIdY
নিচের ভয়াবহ এই ভিডিওটা না দেখলে আপনার সবকিছুই অজানা রয়ে যাবে !কতটা নির্মম ভাবে মারা হল এই ভিডিওটা তার জলন্ত প্রমান । ভিডিওটা অবশ্যই অবশ্যই দেখবেন http://www.youtube.com/watch?v=0wfFspET-Q4
নিচের ছোট্ট ভিডিওটাও দেখেন ... জাতীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইলো যে " অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে থাকা একজন হুজুরকে এইভাবে মারার অর্থ কি ?
ডাউনলোড লিংকঃ http://www.2shared.com/video/btF0YI2R/hefajot3.html
৬ মে ভোর ৫ টার দিকে যা ঘটে ছিল তার ভিডিও :ডাউনলোড লিংকঃ http://www.2shared.com/video/4Yf-A84f/hefajot5.html
রাতের বেলায় হেফতের এক কর্মীর উপর হায়েনা পুলিশের তান্ডবঃ
পুরো ঘটনার একটি ডকুমেন্টারিঃ http://www.youtube.com/watch?v=cfN6KlqoMOM
লাশ গুম করার অনন্য একটি ভিডিয় http://www.youtube.com/watch?v=qJQb8utuPv8
রাস্তায় রক্তের বন্যাঃ http://www.youtube.com/watch?v=AvNhU5adzFE
দিনের বেলায় যেভাবে আলীগ ও পুলিশ হেফাজতের উপর আক্রমণ করেঃ http://www.youtube.com/watch?v=QVWGHBD7P_0
হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের দাবি যে ৫ মে গাড়ীতে আগুন দেওয়া, কোরআন পুরানোর নামে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ষড়যন্ত্র । নিচের ভিডিওটি নিঃসন্দেহে প্রমান করে যে গাড়ীতে আসলে আগুন দেওয়া হয়েছিল আওয়ামীলীগের কর্মীদের দ্বারা । হাউজ বিল্ডিং অফিসে কারা জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর করেছে তার প্রমাণ পাবেন। মাথায় হেলমেট পরে কারা ৫ ই মে সেদিন পল্টনে ছিলো সেটা সবাই দেখেছেন টিভিতে/ সরাসরি । আপনি অবাক হবেন এটা দেখে যে - এই হেলমেট পরা লিডারদের সাথে মাথায় টুপি পড়া কয়জনও গাড়ি ভাংছে। আসলে তারা টুপি পড়ে যে হেফাজতের বেশ ধারন করেছিল তা নিশ্চয়ই টের পাবেন ভিডিওটি দেখে ! হেফাজতের লোকদের ভেতরে যে ভাংচুর-জালাও-পোড়াও করার জন্য হেফাজত সেজে ইনফিল্ট্রেটর ঢুকেছিল আশা করি সন্দেহ কাটবে। অথচ এই হুজুরগুলোর গায়ে সব মিথ্যা অপরাধের কলংক চাপানো হয়েছে। প্রথম আলোর ৭ ই মে ১৩ নাম্বার পাতায় হাউজবিল্ডিং এ গাড়ির ধবংসস্তুপের ছবি ছাপিয়ে হেফাতরের হুজুরদেরকে দায়ি করা হয়েছে।http://eprothomalo.com/displaypage.php?id=2013_05_07_13_0_b
আগুন লাগানোর ভিডিয় লিংকঃ http://www.2shared.com/video/iVXwhlpX/hefajot6.html
বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে নিচের ছবিটা দেখে (from Video)
শেষ করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি বাণী দিয়েঃ
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। (২:154)