অতীতে পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্যই টিপ ব্যবহার করা হত
পবিত্র ইসলাম ধর্মে মেয়েদের কপালে টিপ পরাকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে কারণ অতীতকালে পতিতারা কপালে টিপ পরিধান করত। এছাড়াও এর পেছনে একটি
কাহিনী প্রচলিত রয়েছে।ইসলামের ব্যাখ্যা :
মুসলিম জাহানের পিতা হযরত ঈবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে যখন আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ ৮ মাইল পরিমাণ জায়গা আগুন জ্বালালো(নাউযুবিল্লাহ) তখন একটা নতুন সমস্যা দেখা দিল নমরুদ বাহিনির জালানো আগুন নিয়ে। আগুনের উত্তাপ এতই বেশি ছিল যে তার কাছে পৌছানো যাচ্ছিল না। তাই একটা চরক বানানো হল যার মাধ্যমে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে দূর থেকে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়। কিন্তু রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না। তখন শয়তান এসে নমরুদকে কুবুদ্ধি দিলো যে কিছু নগ্ন মেয়ে(পতিতা) এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারণ এ অবস্থায় রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা থাকতে পারবেন না। তাই করা হলো এবং ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চলে গেলেন, আর ঠিক তখনি তারা মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে আগুনে নিক্ষেপ করতে সক্ষম হলো। কিন্তু আগুন আল্লাহ্ পাক উনার হুকুমে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে জালানোর বদলে ফুলের বাগান হয়ে গেলো, পরবর্তিতে ঐ মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল যে পতিতা মেয়েদের কারণে রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চরক ছেড়ে দূরে সরে গিয়েছিলেন, এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত যা মেয়েরা নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে ব্যবহার করে যা সম্পূর্ণ হারাম।
অতএব যারা বলে যে, মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং এই দোহাই দিয়ে টিপ কে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন? পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন।
সুতরাং আমার প্রশ্ন সুলতানা কামালকেও কি আমরা পতিতা বলে ধরে নিব???
ওহ! সে তো আবার একজন হিন্দুর বউ।