ভূমিকম্প সবচেয়ে
ভীতিকর এবং ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ—যার পূর্বাভাস আগে থেকে দেয়া সম্ভব হয় না। ইদানীং ভূকম্পনের সঙ্গে
সঙ্গে একাধিক সুনামি হওয়ার ফলে মানুষের মাঝে প্রচণ্ড ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। ভূমিকম্প
রোধ করা মানুষের বা বিজ্ঞানের ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু সচেতনতা লোকক্ষয়কে বা
ক্ষয়ক্ষতিকে হ্রাস করতে পারে।
• পরিবারের সবার সাথে বসে এ ধরনের জরুরী অবস্থায় কি করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে- মোট কথা আপনার পরিবারের ইমার্জেন্সি প্ল্যান ঠিক করে সব সদস্যদের জানিয়ে রাখুন। ভূমিকম্পের সময় হাতে খুব সামান্যই সময় পাওয়া যাবে। এ সময় কী করবেন তা সবাইকে নিয়ে আগেই ঠিক করে রাখুন।
• বড় বড় এবং লম্বা ফার্নিচারগুলোকে যেমন- শেলফ ইত্যাদি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখুন যেন কম্পনের সময় গায়ের উপর পড়ে না যায়। আর টিভি, ক্যাসেট প্লেয়ার ইতাদি ভারী জিনিষগুলো মাটিতে নামিয়ে রাখুন।
• বিছানার পাশে সবসময় টর্চলাইট, ব্যাটারী এবং জুতো রাখুন।
• বছরে একবার করে হলেও ঘরের সবাই মিলে আসল ভূমিকম্পের সময় কী করবেন তার একটা ট্রায়াল দিন।
এখনো প্রকৃতির ওপর
আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি মানুষ। আমরা কতটা অসহায় সেটা ভালোভাবে বোঝা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়। তখন স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর
কোনো উপায় থাকে না।
ভূমিকম্প (মূলত
সমুদ্রের তলদেশে) সুনামি সৃষ্টি হওয়ার একটি প্রধান কারণ। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে উপকূলীয়
এলাকায় যে জলোচ্ছ্বাস হয় তার চেয়ে সুনামি বেশ ভিন্ন। আমরা জানি জলোচ্ছ্বাসের সময়
আমাদের উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা অনেক বেশি হয়, কারণ আমাদের উপকূলের
মহীসোপান বেশ অগভীর। কিন্তু সুনামির ক্ষেত্রে এটা আবার ‘শাপে বর’ অবস্থা অর্থাৎ এর প্রভাব
বিপরীত। কারণ, সুনামি মূলত তরঙ্গের গতির ওপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশের
উপকূলের মহীসোপান শুধু অগভীরই নয়, বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃতও (প্রায় ১০০
কিমি থেকে ২৫০ কিমি পর্যন্ত)। সুনামির তরঙ্গ উপকূলে যে গতি নিয়ে আসে স্বল্প
গভীরতার জন্য ঘর্ষণপ্রাপ্ত হয়ে তা বেশী দূর অগ্রসর হওয়ার কথা নয়। আবার বিস্তৃত
মহীসোপানের শেষ প্রান্তে আসতে আসতে এর গতিও অনেক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা।
ভূমিকম্প, সুনামি, অগ্নুৎপাত, বন্যা
প্রভৃতি দুর্যোগ হয়তো ঠেকানো যাবে না, তবে ক্ষয়ক্ষতির
পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকলে প্রাণহানি ও সম্পদহানি
কমানো যায়। এজন্য নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদিএবং স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি।
ঘরের মধ্যে থাকলে
ভারি ও শক্ত টেবিলের নিচে ঢুকে যেতে হবে। ভারি ও শক্ত টেবিল না থাকলে মোটা বিমের
নিচে দাঁড়ানো দরকার। দুটো বিমের সংযোগস্থলটি অধিকতর নিরাপদ।
মাথা এবং মুখমণ্ডল হাত
বা অন্য কিছু দিয়ে ঢেকে রাখা আবশ্যক। বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মুখ এবং মাথা ঢেকে
রাখতে হবে।
এর ফলে মাথা বা
মুখের ক্ষতি কম হতে পারে। গ্লাস, জানালা, দরজা,
আলমিরা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। মাথার উপরে থাকা ভারি লাইট,
ঝাড়বাতি, ফ্যান ইত্যাদির সরাসরি নিচে
অপেক্ষা করা যাবে না। বিছানায় শোয়া অবস্থায় থাকলে সেখানে থাকাটাই ভালো। কম্পন না
থামা পর্যন্ত ঘরের মধ্যেই থাকতে হবে।
পরিসংখ্যানে দেখা
গেছে,
ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে অধিক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভবন থেকে বের
হওয়ার সময় ওয়াল বা ভারি কিছু ওপর থেকে পড়ার কারণে। কম্পন চলাকালে ভবনের বাইরে
যাওয়ার চেষ্টা করা যাবে না। কম্পন থামার পর আস্তে আস্তে নিরাপদে বাইরে যেতে হবে।
নামার সময় লিফট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে হবে। বিদ্যুত্ চলে
যেতে পারে, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট হতে পারে। গ্যাস লাইন
লিক হয়ে গ্যাস নির্গত হতে পারে। অনর্থক চিত্কার না করে আল্লাহকে স্মরণ করা শ্রেয়।
ভবনের বাইরে থাকলে
সেখানেই থাকা উচিত। উঁচু ভবন, ল্যাম্পপোস্ট ইত্যাদি থেকে নিরাপদ
দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের নিচে দাঁড়ানো যাবে না। বড় কোনো দালানের পাশে
দাঁড়ানো যাবে না। ফ্লাইওভার, ফুটওভারব্রিজ, বহুতল ব্রিজ ইত্যাদির নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। চলন্ত গাড়িতে থাকলে যত
তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়ি থামাতে হবে। গাছের নিচে পার্কিং করা যাবে না। ভূমিকম্পের ফলে
ফাটল ধরেছে এমন রাস্তা দিয়ে চলা ঠিক নয়।
একবার ভূকম্পনের
পর আবার ভূকম্পন হতে পারে। তাই ভবনের বাইরে থাকলে প্রথম কম্পনের পর যথেষ্ট সময়
নিয়ে ভবনে প্রবেশ করতে হবে। যেসব ভবনের দেয়ালে বা পার্টিশনে বা বহিরাবরণে গ্লাস
জাতীয় কিছু লাগানো থাকে, তীব্র ভূমিকম্পের সময় তা খুলে ছুটে আসতে পারে।
জানালার কাচ উড়ে একটু দূরেও চলে যেতে পারে। সবকিছুকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
ঘরের মধ্যে শেলফের
উপরের দিকে কোনো ভারি জিনিস না রেখে তা শেলফের নিচের দিকে রাখা বাঞ্ছনীয়। শেলফ বা
আলমিরা ইত্যাদিকে শক্তভাবে বেঁধে রাখা বা দেয়ালের সঙ্গে শক্তভাবে থাকার জন্য
ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। ভূকম্পন বন্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গে দিয়াশলাইয়ে বা চুলায় আগুন
জ্বালানো যাবে না। কোনো কারণে গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস নির্গত হলে দিয়াশলাইয়ের আগুন
থেকে সব ঘরে আগুন লেগে যেতে পারে।
অন্ধকারে থাকলে
কিছুক্ষণ অবস্থানের পর সবকিছু ঠিক থাকলে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করতে হবে।
বাড়ি পুরাতন হয়ে
থাকলে প্রকৌশলীদের দেখিয়ে তাকে ঠিক রেখে শক্ত করা যেতে পারে। প্রয়োজনে তা ভেঙে
বিল্ডিং কোড মেনে সঠিকভাবে বাড়ি প্রস্তুত করা একান্ত জরুরি। আপাতত কিছু টাকা
বাঁচাতে গিয়ে নিজের ও নিজের পরিবারের সদস্যদেরসহ অন্য অনেকের জীবনকে বিপন্ন করার
কোনো অর্থ হয় না। সঠিকভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করা না হলে সবসময়েই বাসিন্দাদের চরম
আতঙ্কের মাঝে বসবাস করতে হবে।
সব কিছুর পরও দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনাই। এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখা আবশ্যক। মাঝে মধ্যে সেইফটি
ড্রিল পালন করা দরকার। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ করা দরকার। সরকারকে ডিজাস্টার
ম্যানেজমেন্টের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি
সংগ্রহ করতে হবে। প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করতে হবে।
ভূমিকম্পের সময়
প্রথম যে কম্পন টের পাওয়া যায় তা হলো প্রাইমারি ওয়েভ বা P-wave. এর গতিবেগ ১-১৪ কিমি/সে পর্যন্ত হতে পারে। এরপর আসে সেকেন্ডারি ওয়েভ বা
যার গতিবেগ ১-৮ কিমি/সে। এ দু’টো বডি ওয়েভ (চিত্র-ঘ)। এছাড়া লাভ এবং রেলেই নামে আরো দু’টো ওয়েভ আছে যেগুলো সারফেস ওয়েভ এবং
তুলনামূলকভাবে শ্লথগতিসম্পন্ন।
আমরা ভূমিকম্পে যে
ঘরবাড়ি,
অবকাঠামো ধ্বংস হতে দেখি তার জন্য মূলত দায়ী সেকেন্ডারি ওয়েভ এবং
সারফেস ওয়েভগুলো- কারণ, এগুলোই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী।
এখন প্রাথমিক ভূ-কম্পন টের পাবার কতো সময় পর বাকিগুলো টের পাবেন? উত্তর হচ্ছে ব্যবধান খুব সামান্য। ধরুন আপনার অবস্থান ভূমিকম্পের
এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল থেকে ২০০ কিমি দূরে। সেকেন্ডে যদি ১৪ কিমি বেগে আসে তবে
২০০ কিমি অতিক্রম করতে সময় নেবে প্রায় ১৪ সেকেন্ড। আর এরপর ৮ কিমি/সে বেগে
সেকেন্ডারি ওয়েভ আসতে সময় নেবে প্রায় ২৫ সেকেন্ড। অর্থাৎ আপনি ভূমিকম্প টের পাবার
মোটামুটি ১১ সেকেন্ডের ব্যবধানে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে। এর মধ্যেই আপনাকে
আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রস্তুতিঃ
• আপনি যদি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকেন তবে খোঁজ নিন আপনার ভবনটিতে ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা আছে কিনা, থাকলে তা কী মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে। যদি না থাকে তবে রেট্রোফিটিং-এর ব্যবস্থা নিন। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পুরনো ভবনেও রেট্রোফিটিং-এর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। জাপানে ভূমিকম্প একটি নৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু তাদের ভবনগুলিতে ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা থাকায় তাদের ক্ষয়ক্ষতি হয় অতি সামান্য।
• আপনি যদি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকেন তবে খোঁজ নিন আপনার ভবনটিতে ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা আছে কিনা, থাকলে তা কী মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে। যদি না থাকে তবে রেট্রোফিটিং-এর ব্যবস্থা নিন। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পুরনো ভবনেও রেট্রোফিটিং-এর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। জাপানে ভূমিকম্প একটি নৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু তাদের ভবনগুলিতে ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা থাকায় তাদের ক্ষয়ক্ষতি হয় অতি সামান্য।
• পরিবারের সবার সাথে বসে এ ধরনের জরুরী অবস্থায় কি করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে- মোট কথা আপনার পরিবারের ইমার্জেন্সি প্ল্যান ঠিক করে সব সদস্যদের জানিয়ে রাখুন। ভূমিকম্পের সময় হাতে খুব সামান্যই সময় পাওয়া যাবে। এ সময় কী করবেন তা সবাইকে নিয়ে আগেই ঠিক করে রাখুন।
• বড় বড় এবং লম্বা ফার্নিচারগুলোকে যেমন- শেলফ ইত্যাদি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখুন যেন কম্পনের সময় গায়ের উপর পড়ে না যায়। আর টিভি, ক্যাসেট প্লেয়ার ইতাদি ভারী জিনিষগুলো মাটিতে নামিয়ে রাখুন।
• বিছানার পাশে সবসময় টর্চলাইট, ব্যাটারী এবং জুতো রাখুন।
• বছরে একবার করে হলেও ঘরের সবাই মিলে আসল ভূমিকম্পের সময় কী করবেন তার একটা ট্রায়াল দিন।
১। ভূমিকম্পের সময়
বেশি নড়াচড়া, বাইরে বের হবার চেষ্টা করা, জানালা দিয়ে লাফ দেবার চেষ্টা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। একটা
সাধারণ নিয়ম হল- এ সময় যত বেশি মুভমেন্ট করবেন, তত বেশি
আহত হবার সম্ভাবনা থাকবে। আপনার ভবনে যদি ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা থাকে বা
রেট্রোফিটিং করা থাকে তবে ভূমিকম্পের সময় বাসায় থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ।
২। আমেরিকান
রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন
শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা
ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা
এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন।
কোনো ভবন ভূমিকম্পরোধক হলে তা খুব কমই ধসে পড়ে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিস বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে আহত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এগুলো থেকে বাঁচার জন্য এ সময় কোন শক্ত ডেস্ক বা টেবিলের নিচে ঢুকে আশ্রয় নেয়া জরুরী।
কোনো ভবন ভূমিকম্পরোধক হলে তা খুব কমই ধসে পড়ে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিস বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে আহত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এগুলো থেকে বাঁচার জন্য এ সময় কোন শক্ত ডেস্ক বা টেবিলের নিচে ঢুকে আশ্রয় নেয়া জরুরী।
৩। ভূমিকম্পের সময়
এলিভেটর/লিফট ব্যবহার পরিহার করুন।
৪। ভূমিকম্পের সময়
যদি গাড়িতে থাকেন তবে গাড়ি বন্ধ করে ভেতরে বসে থাকুন। গাড়ির বাইরে থাকলে আহত হবার
সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫। ‘মেইন শক’ বা মূল ভূমিকম্পের আগে
এবং পরে মৃদু থেকে মাঝারি আরো কিছু ভূমিকম্প হতে পারে যেগুলো ‘ফোরশক’ এবং ‘আফটার শক’ নামে পরিচিত। সতর্ক না
থাকলে এগুলো থেকেও বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। সাধারণত কোনো বড় ভূমিকম্পে ‘আফটার শক’ প্রথম ঘণ্টার মধ্য থেকে
শুরু করে কয়েক দিনের মধ্যে হতে পারে।
৬। প্রথম
ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর
দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন।
ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়লে করণীয়ঃ
ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়লে করণীয়ঃ
১। ধুলাবালি থেকে বাঁচার জন্য আগেই সাথে রুমাল বা তোয়ালে বা
চাদরের ব্যবস্থা করে রাখুন।
২। ম্যাচ
জ্বালাবেন না। দালান ধ্বসে পড়লে গ্যাস লিক হয়ে থাকতে পারে।
৩। চিৎকার করে
ডাকাডাকি শেষ অপশন হিসেবে বিবেচনা করুন। কারণ, চিৎকারের সময় মুখে
ক্ষতিকারক ধুলাবালি ঢুকে যেতে পারে। পাইপে বা ওয়ালে বাড়ি দিয়ে বা মুখে শিস বাজিয়ে
দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন। তবে ভাল হয় সাথে যদি একটা রেফারির বাঁশি বা
হুইসেল থাকে, তার প্রিপারেশন নিয়ে রাখুন আগেই।