Header Ads

Header ADS

নামাজ কত প্রকার এবং কী কী?


ফরজ নামাজের পাশাপাশি সুন্নাত নামাজের গুরুত্বও কম নয়। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে গুরুত্ব সহকারে সুন্নাত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুপম আদর্শ অনুসরণ ও তাঁর প্রতি অগাধ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।



নামাজে মহান মাবুদকে স্মরণ করা হয়, তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। প্রকৃতঅর্থে নামাজের কোনো প্রকারভেদ নেই; নামাজ নামাজই। তবে গুরুত্ব বিবেচনায় শরিয়ত নামাজকে একাধিক ভাগে ভাগ করেছে। যেমন- ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাজ। নিচে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

১-ফরজ :
ফরজ নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে। না পড়লে গুনাহ হবে। এ নামাজ আবার দুধরনের। যথা- ১. ফরজে আইন। যা প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে ফরজ। ফরজে আইনের অন্তর্ভুক্ত নামাজগুলো হলো- ফজরের নামাজ; জোহরের নামাজ; আসরের নামাজ; মাগরিবের নামাজ; এশার নামাজ ও জুমার নামাজ। ২.ফরজে কিফায়া। যা আদায় করা প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে ফরজ নয়। যেমন- জানাজার নামাজ।

২-ওয়াজিব :
যে নামাজের গুরুত্ব ফরজের পরই। যেমন- দুই ঈদের নামাজ ও বিতর নামাজ হচ্ছে ওয়াজিব। কেউ ইচ্ছাকৃত ও নিয়মিত না পড়লে গুনাহ হবে।

৩-সুন্নাত :
ফরজ নামাজের পাশাপাশি সুন্নাত নামাজের গুরুত্বও কম নয়। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে গুরুত্ব সহকারে সুন্নাত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুপম আদর্শ অনুসরণ ও তাঁর প্রতি অগাধ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। সুন্নাত নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়, কিয়ামতের দিন কারো ফরজ নামাজে ঘাটতি থাকলে, এ নামাজ দ্বারা আল্লাহতায়ালা সেই ঘাটতি পূরণ করবেন। এ নামাজ আবার দুধরনের। যথা- ১. সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। যা রাসুল (স.) নিয়মিত আদায় করতেন। যেমন- ফজরের ফরজের পূর্বে ২ রাকাত; জোহরের ফরজের পূর্বে ৪ রাকাত ও পরে ২ রাকাত; মাগরিবের ফরজের পরে ২ রাকাত; এশার ফরজের পরে ২ রাকাত এবং তারাবির নামাজ। ২. সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা। যা রাসুল (স.) নিয়মিত আদায় করতেন না, কখনো বিশেষ প্রয়োজনে ছেড়েও দিতেন। এ নামাজ আদায় করলে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়, কিন্তু কোনো কারণে আদায় করতে না পারলে গুনাহ হবে না। যেমন- আসরের ফরজের পূর্বে ২ রাকাত এবং এশারের ফরজের পূর্বে ২ রাকাত।

৪-নফল :
নফল নামাজ পড়লে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। অনেকের মতে, হাশরের মাঠে যদি ফরজ নামাজ প্রয়োজনের থেকে কম থাকে, তাহলে মহান আল্লাহ ফরজের পরে ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল ইত্যাদি থেকে নিয়ে সেই মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা করবেন। কাজেই আপাত দৃষ্টিতে এটা খুব একটা জরুরি মনে না হলেও প্রকৃতঅর্থে অত্যন্ত জরুরি। এ নফল নামাজই রোজ হাশরে মানুষের জন্য বেহেশত-দোযখের সিদ্ধান্তকারী হয়ে যেতে পারে। তাহাজ্জুদ, এশরাক, চাশত, আওয়াবিন- এগুলো হলো গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ।



No comments

Powered by Blogger.