প্রচলিত কুসংস্কার : পরীক্ষার আগে ‘ডিম’ খেয়ে গেলে ফলাফল “ডিম” হয়!
ডিমের আকৃতি ও শূন্যের আকৃতি অনেকটা এক রকম। এই সাদৃশ্যতার ভিত্তিতে অতীতেত কোনো এক সময়ে হয়তো এই কুসংস্কারের উদ্ভব ঘটে এবং পরবর্তী সময়ে তা আরো ব্যপকতা পায়। এর কোনো ভিত্তি অন্তত ইসলামে নেই। ডিম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। মানুষের শরীর সুস্থ থাকলে মেধার বিকশে তা সহয়ক ভূমিকা পালন করে।
পরীক্ষার আগে ডিম খেয়ে গেলে পরীক্ষার খাতায় ডিম পেতে হয়- এ জাতীয় একটি কথা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। এটি একটি কুসংস্কার। ডিমের আকৃতি ও শূন্যের আকৃতি অনেকটা এক রকম। এই সাদৃশ্যতার ভিত্তিতে অতীতেত কোনো এক সময়ে হয়তো এই কুসংস্কারের উদ্ভব ঘটে এবং পরবর্তী সময়ে তা আরো ব্যপকতা পায়। এর কোনো ভিত্তি অন্তত ইসলামে নেই। ডিম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। মানুষের শরীর সুস্থ থাকলে মেধার বিকশে তা সহয়ক ভূমিকা পালন করে।
পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণে ইসলামের দিক নির্দেশনা রয়েছে। দুধ পানের পরে হাদিসে যে দুয়াটি পাঠের
নির্দেশনা আছে তা থেকে আমরা সে কথাই বুঝতে পারি। সেখানে আল্লাহ তায়ালার কাছে তা
বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন রয়েছে। শুধু ডিম কেন, কোনো খদ্যদ্রব্য বা
অন্য কোনো কিছুকেই ইসলাম অপয়া বা অশুভ জ্ঞান করে না। বরং বর্বর যুগে নানাভাবে
গজিয়ে ওঠা কুসংস্কারগুলোকে কঠোর ভাষায় দমন করেছে। মোট কথা, পরীক্ষা পূর্ববর্তী ডিম খেলে ফলাফলা খারাপ হওয়ার প্রচলিত কথাটি একটি
কুসংস্কার। সুতরাং তা সর্বাংর্শে পরিত্যাজ্য।
No comments