নাস্তিকতার নামে এদেশে চালানো হচ্ছে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড
সারা বিশ্বের নাস্তিকরা সাধারণত কোন ধর্মে এবং সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না। তারা আবার অন্যদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়েও বিষাদগার করেনা।
কিন্তু ইদানীং বাংলাদেশে কিছু অতি উৎসাহী তথাকথিত নাস্তিকদের আবির্ভাব ঘটেছে। যাদের কাজই হল ইসলাম বিদ্বেষী প্রোপাগান্ডা ছড়ানো। তথাকথিত বলছি এই জন্যই যে, তারা কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলে না, শুধু মাত্র ইসলাম নিয়ে তাদের মাথাব্যথা।
অন্য ধর্মের প্রতি তারা খুবই সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেন তাদের এ দ্বিমুখী আচরণ?
তারা আসলে নাস্তিক নয় বরং ইসলামবিদ্বেষী।
নাস্তিক কাকে বলে?
নাস্তিকতা বা এথিজম হল স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতা। তথা একথার বিশ্বাস করা যে, স্রষ্টা বলতে কিছু নেই। আসমান, জমিন, গ্রহ-তারা সবই এমনিতেই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর কোন স্রষ্টা নেই। এক কথায় স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতার বিশ্বাসের নাম নাস্তিক্যতা।
নাস্তিকতা বা এথিজম হল স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতা। তথা একথার বিশ্বাস করা যে, স্রষ্টা বলতে কিছু নেই। আসমান, জমিন, গ্রহ-তারা সবই এমনিতেই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর কোন স্রষ্টা নেই। এক কথায় স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতার বিশ্বাসের নাম নাস্তিক্যতা।
এখন দেখুন তারা কেন তথাকথিত নাস্তিক বা ইসলামবিদ্বেষী হয় এবং ইসলাম ধর্মেকে গালি দেয়, মুসলমানদের বিশ্বাসকে চরম অবমাননা ও বিকৃত করে।
১. মিডিয়ায় সহজে পরিচিতির জন্য। কেননা তাদের অপকর্মের কারনে সবাই তাদের উপর ক্ষেপে যায়। এবং বাম মিডিয়াগুলো তা ফলাওকরে প্রচার করে।
২. আমেরিকা-ইউরোপে নাগরিকত্ব পাওয়ার লোভে। কেননা মুসলমানরা যখন তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে তখন তারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকায় জীবন রক্ষার কথা বলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে এবং সহজে পেয়ে যায়। অনেকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে এবং অনেকে চেষ্টা করছে।
৩. অনেক ইসলামবিদ্বেষী অমুসলিম মুসলমানদের নাম ব্যবহার করে ইসলামের বিরুদ্ধে সহজে বিদ্বেষ ছড়াতে পারে। এতে করে তাদের সম্পর্কে কেউ সচ্ছ ধারনা পাইনা।
সবাই ভাবে তারা হয়ত নাস্তিক। আসলে তা নয়।
৪. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্যও এরা তৎপর থাকে।
ঐ নাস্তিক নামের ইসলাম বিদ্বেষীদের মনে রাখা উচিত যে,
শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের জীবনাচারকে বিশুদ্ধ ঈমান-আক্বীদার প্রশ্নে কোনভাবেই সন্তোষজনক বলা না গেলেও এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, ধর্ম এখানকার জনজীবনে একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ধর্মপালনে শিথিলতা থাকলেও মানুষের মধ্যে ধর্মানুভূতি যথেষ্ট তীব্র। ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ এ দেশের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় সুকৌশলে ধর্মহীনতা প্রসারের ব্যাপক চেষ্টা পরিলক্ষিত হলেও প্রকাশ্যভাবে ধর্মদ্রোহিতা বা নাস্তিকতার কোন স্থান কখনই হয়নি। তাই যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, জনগণকে পক্ষে টানার জন্য অন্ততঃ ভোটের সময় হলেও ধর্মের গুণগান করতে দেখা যায়। যে কারণে দাউদ হায়দার, আহমাদ শরীফ, তাসলীমা নাসরীন, হুমায়ুন আজাদের মত গুটিকয় ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক যারা সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল, বাংলাদেশের গণমানুষের হৃদয়ের গভীরে তাদের তো কোন আশ্রয় হয়ই নি; বরং তাদের বিরুদ্ধে পুঞ্জিভূত হয়েছে প্রবল ক্ষোভ ও ঘৃণাবোধ। এমনকি তাদের অনেককেই শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছে।