স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য আমাদের অস্ত্র ধরতে হয়েছিল। সে স্বাধীনতার দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ। সেদিনই আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে মুক্ত করার জন্য অস্ত্র ধরেছিলাম। যাকে আমরা আজ স্বাধীনতা দিবস বলি
। আর আমাদের অস্ত্র ধরার সফলতা বয়ে এনেছিল নয় মাস পর অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তাই এই দিনের নাম দিয়েছি আমরা বিজয় দিবস।
। আর আমাদের অস্ত্র ধরার সফলতা বয়ে এনেছিল নয় মাস পর অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তাই এই দিনের নাম দিয়েছি আমরা বিজয় দিবস।
আমরা তো জয়ী হলাম, স্বাধীনতা আনলাম, কিন্তু আসলেই কি আমরা স্বাধীনতার রঙে দেশটাকে রাঙাতে পেরেছি। যেখানে স্বেচ্ছাচার ও স্বার্থপরতা আছে সেখানে স্বাধীনতা থাকতে পারে না। পাকিস্তানীদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই তো আমরা সেদিন যুদ্ধ করেছি। একটি স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ গড়েছি। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের কি করা দরকার? হ্যাঁ, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দরকার নিয়ম-শৃঙ্খলা। দেশের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে নিয়ম-শৃঙ্খলার মাধ্যমে।
স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজন আত্মমর্যাদাবোধ। যে জাতির আত্মমর্যাদা নেই, যে জাতি অন্য জাতির নকল করে, সে জাতি কখনো স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণা হলো আত্মমর্যাদাবোধ। আর এ আত্মমর্যাদাবোধই একটি জাতির স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখে।
এখন তোমরা বলো, তাহলে স্বাধীনতা দিবসে আমাদেরকে কি করতে হবে? কি কাজ করলে আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা পাবে?
স্বাধীনতা দিবসে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে ত্যাগের। কাঁধে বয়ে নিতে হবে নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বার্থপরতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও লোভ-লালসাকে পায়ে দলে শৃঙ্খলার সাথে নিজেকে এগিয়ে আসতে হবে। হানাহানি বন্ধ করতে একে অপরকে বুকে তুলে নিতে হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে দেশের কল্যাণে। তার পাশাপাশি জাগিয়ে তুলতে হবে আত্মমর্যাদাবোধ। জাতির ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং প্রত্যয়ের আলোকে গড়ে তুলতে হবে নিজেকে।
তাই আজকের স্বাধীনতা দিবসে একটি স্বাধীন জাতির মানুষ হিসেবে ভেবে দেখতে হবে আমরা কে কি ভুল করেছি। আর এ ভুলগুলো একে একে আন্তরিকতার সাথে শুধরে নিতে হবে আমাদের। তাহলে দেখবে আগামীর স্বাধীনতা দিবস একটি তাজা গোলাপের মতো সুরভিত হয়ে আসবে আমাদের জীবনে।
এসো না বন্ধু আমরা সে শপথ নিই। স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখার সাধনায় নিজেকে বিলিয়ে দেই। তাহলেই তো সোনায় ভরে যাবে আমাদের সোনার বাংলা-মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ।