স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা স্বাধীনতা পাইনি সেই স্বাধীনতা। যা পেয়েছি আমি চাইনি তাহা চেয়েছি যা পাইনি। তাইতো আমি বিদ্রোহী কথা গুলো বেআইনি। মরহুম মাওলানা ইসলামী সংগীত শিল্পী আইন উদ্দিন আল আজাদের কথাটি বার বার মনে পড়ে যায়। যে জাতি লাখ শহিদের প্রানের বিনিমেয় বিশ্বের মানচিত্রে লাল সবুজে দেশটা দাড় করাল। যে জাতি
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করল সে জাতি কতটুকু স্বাধীন? স্বাধীন দেশের মানুষ এখন এক পরাধীনতার দেশে বসবাস করছে। স্বাধীনতার লক্ষ নিয়ে নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীনতার অর্জনের পর বাঙ্গালী জাতি মুক্ত হল। তারা স্বাধীন। না তা হয়নি। স্বার্থন্বেষী রাজনীতিবিদরা স্বাধীনতাকে রাজনীতির হাতিয়া হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করল। যুদ্ধ করে যারা বাংলাটাতে পরাধীনতার ছূবল থেকে রক্ষা করল আজকে অনেকেই না খেয়ে,রিক্সা চালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বীর বাঙ্গালিদেরকে নব্য রাজাকারও বলা হচ্ছে। স্বাধীনতার অর্জনের ফল কি এটাই? কি চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধারা।যা চেয়েছিল তা পাইনি কিছুই। মুক্তিযু্দ্ধারা না খেয়ে মরছে আর বর্তমান দেশের রক্তপিপাসু হায়েনা দুর্নীতি বাজরদের গাড়ীতে লাল সবুজের পাতাকা উড়ছে। তাদের হাতে বাংলা তুলে দেয়ার জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিল বীর বাঙ্গালীরা। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতে দেশটা স্বাধীন বলা যাবেনা। স্বাধীনভাবে কোন কিছুই করা যাচ্ছেনা। না বলতে পারছেন, না লিখতে পারছেন। সরকারে দেশেকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে আওয়ামীলিগ ছাড়া কেউ কোন কথাবলতে পারবেনা। এমন কি ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ এক নেতা বলেছিলেন এখন নাকি আওয়ামিলীগ ছাড়া কেউ চাকুরি পাবেনা। সত্যি তাই তো হচ্ছে। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলা, লেখালেখি করা, রাজণীতি কার হল স্বাধীন দেশর গনতান্ত্রিক অধিকার। আজকে এই অধিকার টুকুও কেড়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্যাতন চালানো হচ্ছে নিমান্ডে নিয়ে। কেন? তারা কি বাংলাদেশের নাগরিগ নয়? কোন কর্মসূচী পালন করতে গেলে পুলিশের গুলিতে পাখি শিকারের মতো নিহত হচ্ছে এই স্বাধীন দেশের মানুষ। হোক তা রাজনৈতিক দলের, শ্রমিকদের, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মোট কথা যে বা যরাই হোক না কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেই বিপদ। বাংলাদেশে কি শুধু জামায়েত ইসলামী ও বিএনপির নেতারাই রাজাকার? ক্ষমতাসীন আওয়ামীলিগেও তো রাজাকারের আড্ডা রয়েছে, তারা আজকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। তাদের বিচার হচ্ছেনা কেন? যাক বিএনপি জামায়েতর ককথা নাই বা বললাম কিন্তু হেফাজতে ইসলামের মতো একটি অরাজনৈতিক সংগঠন লংমার্চ ও ঢাকা অবরোধের কর্মসূচী দিয়ে লাখ লাখ ইসলাম প্রিয় মানুষ দেশের নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি নিশ্চত করার দাবিতে শাপলা চত্তরে জমিয়ত হয়েছিল, তখন দাবী মানা তো দুরের কথা উল্টো সরকার তাদের উপর রাতের আধারে নির্মম গনহত্যা চালায়। এটাও স্বাধীন দেশের স্বাধীন দাবি ছিল। এতে প্রমানিত হয় সরকার ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই হল স্বাধীন বাংলার রাজনীতি। কেন অধিকার আদায়ে মাঠে নামলে নির্যাতনের শিকার হতে হবে? রাজনীতি স্বাধীন দেশেতো স্বাধীন নাগরিকের পাপ্য। শান্তিতে চাকুরী করবে, দুবেলা দুমোটু ভাত খাবে, অধিকার আদায়ে আন্দোলন করবে, কিন্তু না প্রতিহিংসার রাজনীতির আগুনে জলছে স্বাধীন দেশের জনগন। যারা জলছে তারাই কিন্তু দেশকে স্বাধীন করেছিল।
তাই মনে রাখবেন-
রক্ত দিয়েই কেনা যখন স্বাধীনতা, রক্ত দিয়েই রুখতে হবে পরাধীনতা তাই রক্ত দিয়েই রাখতে হবে স্বাধীনতা। রক্ত ছাড়া স্বাধীনতা অর্থহীন, রক্ত দিয়েই শুধতে হবে ভাইয়ের ঋণ!
সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেছা।
এইচ এম রিয়াজ।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করল সে জাতি কতটুকু স্বাধীন? স্বাধীন দেশের মানুষ এখন এক পরাধীনতার দেশে বসবাস করছে। স্বাধীনতার লক্ষ নিয়ে নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীনতার অর্জনের পর বাঙ্গালী জাতি মুক্ত হল। তারা স্বাধীন। না তা হয়নি। স্বার্থন্বেষী রাজনীতিবিদরা স্বাধীনতাকে রাজনীতির হাতিয়া হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করল। যুদ্ধ করে যারা বাংলাটাতে পরাধীনতার ছূবল থেকে রক্ষা করল আজকে অনেকেই না খেয়ে,রিক্সা চালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বীর বাঙ্গালিদেরকে নব্য রাজাকারও বলা হচ্ছে। স্বাধীনতার অর্জনের ফল কি এটাই? কি চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধারা।যা চেয়েছিল তা পাইনি কিছুই। মুক্তিযু্দ্ধারা না খেয়ে মরছে আর বর্তমান দেশের রক্তপিপাসু হায়েনা দুর্নীতি বাজরদের গাড়ীতে লাল সবুজের পাতাকা উড়ছে। তাদের হাতে বাংলা তুলে দেয়ার জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিল বীর বাঙ্গালীরা। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতে দেশটা স্বাধীন বলা যাবেনা। স্বাধীনভাবে কোন কিছুই করা যাচ্ছেনা। না বলতে পারছেন, না লিখতে পারছেন। সরকারে দেশেকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে আওয়ামীলিগ ছাড়া কেউ কোন কথাবলতে পারবেনা। এমন কি ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ এক নেতা বলেছিলেন এখন নাকি আওয়ামিলীগ ছাড়া কেউ চাকুরি পাবেনা। সত্যি তাই তো হচ্ছে। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলা, লেখালেখি করা, রাজণীতি কার হল স্বাধীন দেশর গনতান্ত্রিক অধিকার। আজকে এই অধিকার টুকুও কেড়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্যাতন চালানো হচ্ছে নিমান্ডে নিয়ে। কেন? তারা কি বাংলাদেশের নাগরিগ নয়? কোন কর্মসূচী পালন করতে গেলে পুলিশের গুলিতে পাখি শিকারের মতো নিহত হচ্ছে এই স্বাধীন দেশের মানুষ। হোক তা রাজনৈতিক দলের, শ্রমিকদের, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মোট কথা যে বা যরাই হোক না কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেই বিপদ। বাংলাদেশে কি শুধু জামায়েত ইসলামী ও বিএনপির নেতারাই রাজাকার? ক্ষমতাসীন আওয়ামীলিগেও তো রাজাকারের আড্ডা রয়েছে, তারা আজকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। তাদের বিচার হচ্ছেনা কেন? যাক বিএনপি জামায়েতর ককথা নাই বা বললাম কিন্তু হেফাজতে ইসলামের মতো একটি অরাজনৈতিক সংগঠন লংমার্চ ও ঢাকা অবরোধের কর্মসূচী দিয়ে লাখ লাখ ইসলাম প্রিয় মানুষ দেশের নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি নিশ্চত করার দাবিতে শাপলা চত্তরে জমিয়ত হয়েছিল, তখন দাবী মানা তো দুরের কথা উল্টো সরকার তাদের উপর রাতের আধারে নির্মম গনহত্যা চালায়। এটাও স্বাধীন দেশের স্বাধীন দাবি ছিল। এতে প্রমানিত হয় সরকার ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই হল স্বাধীন বাংলার রাজনীতি। কেন অধিকার আদায়ে মাঠে নামলে নির্যাতনের শিকার হতে হবে? রাজনীতি স্বাধীন দেশেতো স্বাধীন নাগরিকের পাপ্য। শান্তিতে চাকুরী করবে, দুবেলা দুমোটু ভাত খাবে, অধিকার আদায়ে আন্দোলন করবে, কিন্তু না প্রতিহিংসার রাজনীতির আগুনে জলছে স্বাধীন দেশের জনগন। যারা জলছে তারাই কিন্তু দেশকে স্বাধীন করেছিল।
তাই মনে রাখবেন-
রক্ত দিয়েই কেনা যখন স্বাধীনতা, রক্ত দিয়েই রুখতে হবে পরাধীনতা তাই রক্ত দিয়েই রাখতে হবে স্বাধীনতা। রক্ত ছাড়া স্বাধীনতা অর্থহীন, রক্ত দিয়েই শুধতে হবে ভাইয়ের ঋণ!
সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেছা।
এইচ এম রিয়াজ।
এবার প্রিয় শিল্পীর লেখা সংগীতটি তুলে ধরলাম। (বর্তমানের সাথে মিলিয়ে কিছু বাড়ানো হলো)
স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা
যাহা চেয়েছি আমি তাহা পাইনি
যাহা পেয়েছি আমি তাহা চাইনি
তাইতো আমি বিদ্রোহী আজ কথাগুলি বেআইনি
স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা
আজ স্বাধীনতা যেন দুর্নীতিবাজের সিদ্ধ হস্ত কলম
স্বাধীনতা মানে হরতাল ডেকে রাজপথ রাখা গরম
এদিকে দ্রব্যমূল্যে আগুন মুখে যায় না ভাত
সারের লাগি কৃষক মরে অনাহারে কাটে রাত
ওই কৃষকের চোখের পানি দেখিতে আমি চাইনি
তাইতো আমি বিদ্রোহী আজ কথাগুলি বেআইনি
স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা
ঋণের বোঝায় নূজ্য মাথা জনগণ যেথা
ক্ষমতাধারী রাতের আধারে সরাব চুম্বনে দেয় ধোকা
স্বাধীনতা মানে রাষ্টীয়তিথিদের হাতে মদ আর জুয়া
স্বাধীনতা মানে শহীদ মিনারে ফুল পূজার মহড়া দেওয়া
এদিকে শহীদ জননী ব্যাথায় কাতর বুকে
জীর্ণ শীর্ণ নিঃস্ব হয়ে মরিছে ধূকে ধুকে
ওই শহীদ মায়ের বুকের কান্না শুনিতে আমি চাইনি
ওই শহীদ মায়ের করুন কান্না শুনিতে আমি চাইনি
বাঙালি বাংলা বাংলাভাষী ছালাম বরকতের আত্মতাগ
কোথায় রাখিছ সেই মর্যাদা শহীদের আত্মায় কালো মেঘ
তাইতো আমি বিদ্রোহী আর কথা গুলি বেআইনি
স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা
আজ স্বাধীনতা মানে আকাশ চুম্বি লুটেরাদের বাড়ি
আজ স্বাধীনতা মানে শুল্কছাড়াই বিলাস বহুল গাড়ী
ফুটপাথে আজ রাত্রি কাটে অসহায় শিশু নারী
মানুষ নামের কুকুর গুলি নাইটক্লাবে গড়ে নিজ বাড়ি
ওই ক্ষুদিত শিশুর হা হা কার আমি শুনিতে কভু চাইনি
তাইতো আমি বিদ্রোহী আর কথা গুলি বেআইনি
স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা মানে এফডিসির নামে অশ্লীলতার আছর
স্বাধীনতা মানে মিডিয়া গুলির উস্কে দেয়া ইভটিজিং এ কাতর
মা বোনেরা রাস্তায় আজি বে হায়ায় পাথর
মিডিয়ার প্রতিযোগিতায় ইজ্জত আব্রু প্রকাশে বেখবর
ওই মায়ের জাতীর অপমান আমি দেখিতে কভু চাইনি
তাইতো আমি বিদ্রোহী আজ কথাগুলি বেআইনি
স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা মানে রাজাকার ওলামাছু এর পতাকাবাহী গাড়ী
টাকা কড়ি দিয়ে ৭১ এর ইতিহাস নিয়েছে কারি
স্বাধীনতা মানে কূটকৌশলীদের দেব দেবীর পূজা ইজারা
স্বাধীনতা মানে যবন, ম্লেচ্ছ,অস্প্রিস্সো মালুনদেরই আশকারা
সাধীনতা মানে সাহাবাগের প্রজন্ম চত্তর
অশ্লীলতা আর নংরামী নিয়ে হয়েছে কাতর
বারো আওলিয়ার দেশের কাহিনী জানা আছে অনেকের
ঘটনা ঘটেছে পূর্বে যাহা ইব্রত নসিহত তোমাদের
স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা