03 November 2016

জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। যে ব্যক্তি সুন্দর রূপে ওযু করা পূর্বক জুমা নামাজ পড়তে আসবে তার পূর্ববর্তী জুমা থেকে বর্তমান জুমা পর্যন্ত সংগঠিত গুনাহ সমূহ মাফ হয়ে যায়।

সূরা আল জুমায় ইরশাদ করা হয়েছে, যখন সালাতের জন্য জুমার দিবসে
আহবান জানানো হয়, তখনই আল্লাহকে স্মরণের উদ্দেশ্যে চলে এসো এবং ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করে দাও। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।

হযরত হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, প্রত্যেক (প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ) মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব- অপরিহার্য কর্তব্য। - সুনানে নাসায়ী

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি অবহেলা-অলসতা করে পর পর তিন জুমা নামাজ ছেড়ে দিল, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দিবেন। - আবু দাউদ

আরেক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন ওজর এবং অনিষ্টের ভয় ছাড়া জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করে না, মুনাফিকের এমন দফতরে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়, যা কখনো মোছা বা রদ বদল করা হয় না।

তিরমিযী শরীফে আছে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) কাছে এমন এক ব্যাক্তির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে হলো, যে দিনভর রোজা রাখে এবং রাতভর নামাজ পড়ে কিন্তু জামাতে কিংবা জুমায় হাজির হয় না- তার হুকুম কি? প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন- এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহান্নামে যাবে।

হযরত আলী (রাঃ) বলেন, মসজিদের প্রতিবেশীর নামাজ মসজিদ ছাড়া আদায় হয় না। বলা হলো মসজিদের প্রতিবেশী কে ? তিনি বললেন, যে আযান শুনতে পায়। 

হাদিস অনুযায়ী জুমার নামাজ পড়া যেমন ওয়াজিব তেমনি জামাতে নামাজ পড়ার জন্যে পবিত্র কুরআনে তাগিদ দেয়া হয়েছে ।

আল্লাহপাক বলেন, হাটু পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, যেদিন তাদের সেজদা করতে আহবান করা হবে, তখন তারা সেজদা করতে পারবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে, তারা অপমান ও লাঞ্ছনাগ্রস্থ হবে।অথচ তারা যখন সুস্থ অবস্থায় ছিলো, তখন তাদের সেজদা করার জন্য আহবান জানানো হতো -  সূরা: আল কলম-৪২-৪৩