মৃত্যুর পর মানুষের রুহ আবার অন্য আকৃতিতে ফিরে আসে : কথাটি কি সহিহ!
একটি দল পরিষ্কারভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে, তারা ধারণা করে যে, রূহসমূহ স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ রূহ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর অন্য শরীরে প্রবেশ করে তার আকৃতি ধারণ করে এবং তারা এ ধারণাও পোষণ করে যে, কোনো রূহ জীব জন্তু, কীট পতঙ্গ ও পশুপাখী ইত্যাদির মধ্যে যার সাথে সামঞ্জস্য ও আকৃতিতে মিলবে তার মধ্যে প্রবেশ করে। এ প্রকার কথা নিতান্তই বাতিল।
একটি
দল পরিষ্কারভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে, তারা
ধারণা করে যে, রূহসমূহ স্থানান্তরিত হয়।
অর্থাৎ রূহ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর অন্য শরীরে প্রবেশ করে তার আকৃতি ধারণ করে এবং তারা
এ ধারণাও পোষণ করে যে, কোনো
রূহ জীব
জন্তু, কীট পতঙ্গ ও পশুপাখী
ইত্যাদির মধ্যে যার সাথে সামঞ্জস্য ও আকৃতিতে মিলবে তার মধ্যে প্রবেশ করে। এ
প্রকার কথা নিতান্তই বাতিল। যার ওপর পূর্বের এবং পরের নবী রাসূলগণ ঐক্যমত
পোষণ করেছেন, তা এর পরিপন্থি। তা আল্লাহ এবং পরকালের
ওপর কুফুরি করার শামিল।[ আর রূহ পৃষ্ঠা নং ২৯২, ইবন কাছীর প্রকাশনী।]
এ
বাতিল মাযহাব বহু পূর্বেই প্রকাশ হয়েছে, তবে আমাদের মাঝে তা নতুন পোশাক পরিধান করে আবার আত্মপ্রকাশ করেছে,
নাম দেওয়া হয়েছে (আর রূহিয়া আল হাদীসা) নতুন আত্মা
বা (তাহযীবুর রূহ) রূহের উপস্থিতি। এ বাতিল চিন্তাধারা পশ্চিমা কতগুলো দেশে প্রচলিত আছে এবং
প্রায় ১৮৮২ খ্রিস্টাবে বৃটেন ও আমেরিকায় বিশেষ বিশেষ সংগঠন গঠন করা হয়েছে। এখনো তাদের এ
পথভ্রষ্ঠতা এবং ভ্রান্ততা প্রত্যেক চক্ষুষ্মান জ্ঞানবানের জন্য দীপ্তমান।[
কিতাব আর রূহের ভূমিকায় ১/১৫৭, মুহাক্কেকের
লেখায় ড: বাস্সাম আল আয়ূস]
হাফেজ
কুরতুবী রহ. এ ব্যাপারে তার কিতাব (আর মুফহীমে) বলেন: তানাসুখীদের কোনো কথার দিকে
ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না। যারা বলে যে,রূহসমূহ
সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য
লাভের জন্য অন্যান্য শরীরে স্থানান্তরিত হয় অথচ তা শরীআত এবং উলামাগণের ঐক্যমতের
পরিপন্থি। এ রকম বিশ্বাসী নিঃসন্দেহে কাফির হয়ে যাবে। কেননা পরকাল এবং এর বিস্তারিত অবস্থার
ব্যাপারে আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা জানা যায় সত্যিকারে তা
অস্বীকার করা
অথচ তারা যা বলে তার কোনো ভিত্তি নেই। সুতরাং তানাসুখের দাবী বাতিল এবং জ্ঞানের দিকে দিয়ে
অসম্ভব।[ আল মুফহীম ৪/৭১৯] এতে প্রতীয়মান হয় যে, রূহসমূহ এ পার্থিব জীবনে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তার
পূনরূত্থান রয়েছে।
অতএব,দ্বিতীয়বার শরীরের
সাথে পুরোপুরি মহা সাক্ষাত করবে, যেন প্রত্যেক মুকাল্লাফ
(প্রাপ্ত বয়স্ক) বান্দা পৃথিবীর কৃতকর্মের ফল লাভ করতে পারে।
No comments