Header Ads

Header ADS

আল্লাহ রিজিকদাতা হলে মানুষ না খেয়ে মারা যায় কেন?


মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে। তার মধ্যে আল্লাহ ‘রিজিকদাতা’ অন্যতম। অর্থ্যাত কার রিজিক কোথায় আছে, রিজিকে কি আছে তা মহান আল্লাহ পাকই ঠিক করে দেন। কিন্তু পিস টিভি বাংলার নিয়মিত আয়োজন প্রশ্নোত্তর পর্বে বর্তমান সময়ে বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবীদ ডা. জাকির নায়েকের কাছে এক একজন দর্শক জানতে চান,‘আল্লাহ যদি রিজিকদাতা হন, তাহলে পৃথিবীতে মানুষ না খেয়ে মারা যায় কেন? ওই ব্যক্তি সোমালিয়া, ইথোপিয়ার মানুষদের উদাহরণ দেন। উত্তরে ডা. জাকির নায়েক বলেন, আমাদের পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে ‘আল্লাহ রিজিকদাতা’ এবং তিনি রক্ষাকারীও।
আবার আল কোরআনের অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ পাক বলছেন, ‘আমি মানুষকে পরীক্ষা করি সম্পদের অভাব দিয়ে, বিভিন্ন রকম বিপর্যয় দিয়ে। যেমন তিনি আমাদের দুর্ভিক্ষ দিয়ে পরীক্ষা করেন, বন্যা দিয়ে পরীক্ষা করেন। আর এর মাধ্যমে দেখতে চান সত্যিকারের বিশ্বাসী কে? তিনি পরীক্ষা করেন- তোমাকে যদি একটু খাবারের কষ্ট দিই, তখনও কি আমাকে বিশ্বাস করবে? তোমাকে যদি দারিদ্রের মধ্যে রাখি, তখনও কি আমাকে বিশ্বাস করবে? সুরা মূলকের ২নম্বর আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা বলেন, ‘এই পৃথিবীর জীবন পরকালের জন্য পরীক্ষা।’ আর আল্লাহর পরীক্ষা একেক জনের জন্য একেক রকম হয়ে থাকে।
সবার পরীক্ষা একরকম হয় না। আপনি/আমি ভাগ্যবান যে খাবার পাচ্ছি। কিন্তু আল্লাহ অন্যভাবে আমাদের পরীক্ষা করছেন। সম্পদ দিয়ে তিনি পরীক্ষা করবেন, আপনি তার পথে খরচ করছেন কি না? এমনিভাবে কাউকে সন্তান দিয়ে, কাউকে খাবার দিয়ে, কাউকে স্বামী-স্ত্রী দিয়ে পরীক্ষা করেন। মোটকথা আলাদা আলাদাভাবে সবাইকে পরীক্ষা করেন তিনি। আর পরীক্ষা দিতে বসে নিশ্চয় আপনি বলতে পারবেন না যে, ‘সবাইকে একই রকম পরীক্ষা দিতে হবে।’ তবে পরীক্ষা যাই হোক বিচারটা কিন্তু সঠিক হতে হবে।
আর আল্লাহ আপনাকে যে পরীক্ষা দিবেন, সে হিসাবেই বিচার করবেন। যেমন ১০০ মিটারের দৌড়ের প্রতিযোগিতায় কেউ যদি খোড়া থাকে তাহলে শুরুতে তাকে ৫০মিটার এগিয়ে রাখা হবে। আর যার কোনো সমস্যা নেই, দুটো পা’ই আছে তাকে প্রথম (১০০মিটার) থেকেই দৌড়াতে হবে। অতএব আল্লাহ আপনাকে যে পরীক্ষা দিবেন সে পরীক্ষার বিচার তিনিই করবেন। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।
সূত্র: পিসটিভি।

No comments

Powered by Blogger.