নামাজের মধ্যেই নিহিত রয়েছে চেহারার জ্যোতি, শরীরের শক্তি, সন্তানদের সাফল্য আর ঘুমের শান্তি- কথাটি কতটুকু সহিহ ?
যে ব্যক্তি ফজরের নামায তরক করে তার চেহারার জ্যোতি কমে যায়। যে ব্যক্তি যোহরের নামায তরক করে তার রিযিকের বরকত কমে যায়। যে ব্যক্তি আসরের নামায তরক করে তার শরীরের শক্তি কমে যায়। যে ব্যক্তি মাগরিবের নামায তরক করে তার সন্তানরা তার কোনো কাজে আসবে না। যে ব্যক্তি এশার নামায তরক করে তার ঘুমের শান্তি চলে যায়।
যে ব্যক্তি ফজরের নামায তরক করে তার চেহারার জ্যোতি কমে যায়। যে ব্যক্তি যোহরের নামায তরক করে তার রিযিকের বরকত কমে যায়। যে ব্যক্তি আসরের নামায তরক করে তার শরীরের শক্তি কমে যায়। যে ব্যক্তি মাগরিবের নামায তরক করে তার সন্তানরা তার কোনো কাজে আসবে না। যে ব্যক্তি এশার নামায তরক করে তার ঘুমের শান্তি চলে যায়।
নামায তরক করার ক্ষতি হিসেবে অনেকে এ বর্ণনাটি পেশ করে থাকেন। এবং এটি লোকমুখে হাদীস হিসেবে খুব প্রসিদ্ধও বটে। কিন্তু বাস্তবে এটি নবীজীর হাদীস নয়; একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা। হাদীসের নির্ভরযোগ্য কোনো কিতাবে এর কোনো সূত্র পাওয়া যায় না; সহীহ-জয়িফ কোনো ধরনের সূত্রেই পাওয়া যায় না। সুতরাং এটিকে হাদীস হিসেবে বর্ণনা করা যাবে না।
তবে হ্যাঁ, বেশ কিছু আয়াত-হাদীসে নামায তরক করার বিষয়ে সাবধানবাণী উচ্চারিত হয়েছে। নামায তরক করার ক্ষতি বা শাস্তি হিসেবে সেগুলোই বর্ণনা করা উচিত। এধরনের জাল বর্ণনা পরিহার করা উচিত।
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন- তারপর তাদের স্থলাভিষিক্ত হল এমন লোক, যারা নামায নষ্ট করল এবং ইন্দ্রিয় চাহিদার অনুগামী হল। সুতরাং অচিরেই তারা তাদের কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। (সূরা মারইয়াম: ৫৯)
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- নামায হল বান্দা ও কুফ্র-শিরকের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮২)
আর বিশেষভাবে আসরের নামায তরক করার উপরেও সাবধানবাণী উচ্চারিত হয়েছে- যে ব্যক্তি আসরের নামায তরক করল, তার আমল বরবাদ হল। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৩)
সুতরাং নামায তরক করা বিষয়ে এজাতীয় সহীহ হাদীসগুলোই আমরা বলব এবং ভিত্তিহীন বর্ণনা থেকে বিরত থাকব।
No comments