হযরত সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী(রহঃ) এর শুভ পরিণয়ের অসাধারণ এক কাহিনী।
পড়বেন আশাকরি......
.
বারো বছরের এক কিশোরী মাহমুদা বেগম এক্কা দোক্কা
খেলার ছলে পা দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে একটি গর্ত করলেন। গর্তটিতে
হাত ঢুকাতেই তার হাতে শক্ত একটি পাথরের টুকরো অনুভব
করলেন। হাত উঠিয়ে দেখেন একটি উজ্জ্বল হিরের টুকরো।
এটি দেখে আশেপাশে লোকজন জড়ো হয়ে গেল। সবাই
বলতে লাগল, "বেটি হিরের টুকরোটি যত্ন করে রেখো। পাছে
কেউ আবার কেড়ে নিয়ে ফেলবে।"
.
হঠাৎ ভোর রাতে অদ্ভুত এই স্বপ্নে কিশোরী মাহমুদার ঘুম
ভেঙে গেল। হাত মুষ্ঠি মেরে বসে আছেন। বার বার নিজের
হাতের মুঠির দিকে তাকাচ্ছেন। মুঠি খুললেই যেন হিরেটি
অদৃশ্য হয়ে যাবে।
.
অব্যক্ত ভালো লাগা এই স্বপ্নের কাহিনীটি খুলে বলেন তার
বাবা সাইয়্যেদ নাসির উদ্দীন শামসীর কাছে। বাবাও অবাক
হলেন স্বপ্নের কাহিনীটি শুনে।
.
তিনি দিল্লীর বিখ্যাত এক আলেমের কাছে উনার মেয়ের
স্বপ্নের কথা জানালেন।
ঐ আলেমটি হেসে বললেন, "আপনার মেয়ের সাথে এমন এক
আলেমে দ্বীনের নিকাহ হবে, যার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে সারা
বিশ্বময়।
.
মাহমুদার বাবা নাসির উদ্দীন ছিলেন দিল্লীর সাইয়্যেদ
বংশের সন্তান।
সে হিসেবে একের পর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের পক্ষ থেকে
মাহমুদার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে।
.
মাওলানা মওদুদীর মা রোকেয়া বেগম নিজের ছেলের বিয়ের
প্রস্তাব নিয়ে গেলেন। সাদাসিধে স্পষ্টভাষী মওদুদীকে
সাইয়্যেদ নাসির উদ্দীন এর ভালো লেগে গেল।
.
মওদুদী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন তাঁর জীবনের লক্ষ্য
উদ্দেশ্য, তিনি কোনক্রমেই তাঁর লক্ষ্যের সাথে আপোষ
করবেন না।
পাশাপাশি আর্থিক অস্বচ্ছলতাও তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে
পিছপা করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
উক্ত কথাটি শুনে মাহমুদার দাদা অত্যন্ত খুশি হন।
.
অবশেষে ১৯৩৭ সালের ১৫ই মার্চ সোমবার মওদুদী(রহঃ) ও
মাহমুদা বেগম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তৎকালীন দিল্লীর
সম্ভ্রান্ত পরিবারের বিয়েতে সোয়া লাখ টাকা মোহরানা
দেয়ার রেওয়াজ ছিল।
.
কিন্তু মওদুদী(রহঃ) পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, উনি মাত্র দুই
হাজার টাকা মোহরানা দিতে পারবেন এবং নগদে পরিশোধ
করবেন।
.
অবশেষে মাত্র দুই হাজার টাকা মোহরানাতেই উনাদের
বিবাহ সম্পাদন হয়েছিল।
.
সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী একটি জীবন, একটি ইতিহাস।
আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন, আমীন।
(সংগৃহীত)
পড়বেন আশাকরি......
.
বারো বছরের এক কিশোরী মাহমুদা বেগম এক্কা দোক্কা
খেলার ছলে পা দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে একটি গর্ত করলেন। গর্তটিতে
হাত ঢুকাতেই তার হাতে শক্ত একটি পাথরের টুকরো অনুভব
করলেন। হাত উঠিয়ে দেখেন একটি উজ্জ্বল হিরের টুকরো।
এটি দেখে আশেপাশে লোকজন জড়ো হয়ে গেল। সবাই
বলতে লাগল, "বেটি হিরের টুকরোটি যত্ন করে রেখো। পাছে
কেউ আবার কেড়ে নিয়ে ফেলবে।"
.
হঠাৎ ভোর রাতে অদ্ভুত এই স্বপ্নে কিশোরী মাহমুদার ঘুম
ভেঙে গেল। হাত মুষ্ঠি মেরে বসে আছেন। বার বার নিজের
হাতের মুঠির দিকে তাকাচ্ছেন। মুঠি খুললেই যেন হিরেটি
অদৃশ্য হয়ে যাবে।
.
অব্যক্ত ভালো লাগা এই স্বপ্নের কাহিনীটি খুলে বলেন তার
বাবা সাইয়্যেদ নাসির উদ্দীন শামসীর কাছে। বাবাও অবাক
হলেন স্বপ্নের কাহিনীটি শুনে।
.
তিনি দিল্লীর বিখ্যাত এক আলেমের কাছে উনার মেয়ের
স্বপ্নের কথা জানালেন।
ঐ আলেমটি হেসে বললেন, "আপনার মেয়ের সাথে এমন এক
আলেমে দ্বীনের নিকাহ হবে, যার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে সারা
বিশ্বময়।
.
মাহমুদার বাবা নাসির উদ্দীন ছিলেন দিল্লীর সাইয়্যেদ
বংশের সন্তান।
সে হিসেবে একের পর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের পক্ষ থেকে
মাহমুদার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে।
.
মাওলানা মওদুদীর মা রোকেয়া বেগম নিজের ছেলের বিয়ের
প্রস্তাব নিয়ে গেলেন। সাদাসিধে স্পষ্টভাষী মওদুদীকে
সাইয়্যেদ নাসির উদ্দীন এর ভালো লেগে গেল।
.
মওদুদী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন তাঁর জীবনের লক্ষ্য
উদ্দেশ্য, তিনি কোনক্রমেই তাঁর লক্ষ্যের সাথে আপোষ
করবেন না।
পাশাপাশি আর্থিক অস্বচ্ছলতাও তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে
পিছপা করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
উক্ত কথাটি শুনে মাহমুদার দাদা অত্যন্ত খুশি হন।
.
অবশেষে ১৯৩৭ সালের ১৫ই মার্চ সোমবার মওদুদী(রহঃ) ও
মাহমুদা বেগম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তৎকালীন দিল্লীর
সম্ভ্রান্ত পরিবারের বিয়েতে সোয়া লাখ টাকা মোহরানা
দেয়ার রেওয়াজ ছিল।
.
কিন্তু মওদুদী(রহঃ) পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, উনি মাত্র দুই
হাজার টাকা মোহরানা দিতে পারবেন এবং নগদে পরিশোধ
করবেন।
.
অবশেষে মাত্র দুই হাজার টাকা মোহরানাতেই উনাদের
বিবাহ সম্পাদন হয়েছিল।
.
সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী একটি জীবন, একটি ইতিহাস।
আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন, আমীন।
(সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment